কুয়েট শিক্ষক সেলিমের মৃত্যু, ৪৪ ছাত্রকে শোকজ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৪৫ পিএম, ৩০ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ১১:৫৮ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) লালন শাহ হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মো. সেলিম হোসেনের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ কর্মীসহ মোট ৪৪ ছাত্রকে শোকজ করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির প্রদত্ত নোটিসের ভিত্তিতে আগামী ৩ জানুয়ারির মধ্যে শোকজপ্রাপ্ত ছাত্রদের এর জবাব দিতে বলা হয়েছে।
কুয়েটের পাবলিক রিলেশন অফিসার মো. রবিউল ইসলাম শোকজের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘আজ (বৃহস্পতিবার) তাদের কাছে লিখিত শোকজ নোটিশ দেয়া হয়েছে। ৩ জানুয়ারির মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে। জবাব শৃঙ্খলা কমিটিতে যাবে। এরপর সিন্ডিকেটের সভা ডেকে বিষয়টি উত্থাপন করা হবে।’
ড. মো. সেলিম হোসেনের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সাময়িক বহিস্কৃত হওয়া কুয়েট ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানসহ নয় ছাত্রও শোকজ নোটিসপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন।
এর আগে গত ৩০ নভেম্বর কুয়েটের শিক্ষক ও লালন শাহ হলের প্রভোস্ট ড. মো. সেলিম হোসেন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। অভিযোগ উঠেছে হলের ডাইনিংয়ের নিয়ন্ত্রণ নিতে ছাত্রলীগ তার ওপর চাপ সৃষ্টি ও মানসিক নির্যাতন করলে তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় পুরো বিশ্ববিদ্যালয় উত্তপ্ত হয়ে উঠে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ৩ ডিসেম্বর জরুরি সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানসহ নয় ছাত্রকে ঘটনার জড়িত সন্দেহে সাময়িক বহিষ্কার করা হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটি ঘোষণা করা হয়। ঘটনা তদন্তে দুই দফায় কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
দ্বিতীয় দফায় গঠন করা হয় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি। কমিটিকে ১০ দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করতে বলা হয়। কিন্তু কমিটি ওই সময়ের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করতে পারেনি। ২৩ ডিসেম্বর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় পাঁচ কর্মদিবসে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। সে অনুযায়ী ২৮ ডিসেম্বর তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করা হয়।