স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আসছে হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:১০ পিএম, ৩০ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০১:৫৯ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
নিয়মিত সব শিক্ষার্থীকে স্বাস্থ্য ও জীবনবিমা প্রকল্পের আওতায় আনতে যাচ্ছে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) প্রশাসন। প্রতিবছর এনরোলমেন্ট ফি-এর সাথে বাৎসরিক ২৭০ টাকা প্রিমিয়াম দিয়ে তালিকাভুক্ত বিভিন্ন হাসপাতালে স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাসেবা নেওয়ার ক্ষেত্রে বছরে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা বিমাসুবিধা পাবেন শিক্ষার্থীরা। তবে ছাত্রত্ব শেষ হলে এ সুবিধা পাওয়া যাবে না।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. ইমরান পারভেজ।
তিনি জানান, প্রত্যেক শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তির ক্ষেত্রে বার্ষিক সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা বিমাসুবিধা পাবেন। এর মধ্যে হাসপাতালে থাকাকালীন কেবিন বা ওয়ার্ডের ভাড়া, হাসপাতাল সেবা, অস্ত্রোপচারজনিত ব্যয়, চিকিৎসকের পরামর্শ ফি, ওষুধ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিল বাবদ দৈনিক সর্বোচ্চ তিন হাজার টাকা চিকিৎসা ব্যয় পাবে।
বহির্বিভাগে চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য বছরে ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এর মধ্যে বহির্বিভাগে পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ফি বাবদ প্রতি ব্যবস্থাপত্রে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা পাওয়া যাবে। তবে কোনও শিক্ষার্থী ছাত্রত্ব হারালে অথবা ছাত্রত্ব না থাকলে বিমাসুবিধা পাবেন না।
নতুন শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হতে যাওয়া সকল শিক্ষার্থীর জন্য এটি বাধ্যতামূলক। বর্তমান শিক্ষার্থীদের জন্য জানুয়ারি মাসে গুগল ফর্ম-এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মতামত নেয়া হবে। শিক্ষার্থীরা বিমাসুবিধা নিতে চাইলে সবার জন্য এটি বাধ্যতামূলক করা হবে।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে হাবিপ্রবির ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের শিক্ষার্থী মোঃ সাদমান সাকিব বলেন, "প্রথমেই এই প্রকল্পের প্রতি সাধুবাদ জানাচ্ছি। এটি খুব ভালো একটি উদ্যেগ শিক্ষার্থীদের জন্য। এতে করে অনেক অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীও স্বাস্থ্য সুবিধা পাবে। আমি আশা করি যাতে দ্রুত সময়ের মাঝেই প্রকল্প বাস্তবায়ন করে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য বিমার আওতায় আনে কতৃপক্ষ। এতে করে হাবিপ্রবি আরেক ধাপ উন্নতির শেখরে পৌঁছে যাবে। তবে হাবিপ্রবির মেডিকেল সেন্টারে মাত্র ৪ জন ডাক্তার স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছে যা শিক্ষার্থীদের তুলনায় একদমই অপ্রতুল। শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়ছে ডাক্তার সংখ্যা কম হওয়ায়। তাই প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করি যাতে দ্রুত সময়ের মাঝে উন্নত ডিগ্রিধারী ডাক্তার নিয়োগ দেয়া হয় "।
এছাড়াও বিমাসংক্রান্ত সকল শর্ত ও বিস্তারিত তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (www.hstu.ac.bd) পাওয়া যাবে।