সারাদেশে ঢাবির ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৪৩ পিএম, ২ অক্টোবর,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:০৬ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
কোনো প্রকার অনিয়ম, ভর্তি জালিয়াতি বা প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ছাড়াই অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কলা অনুষদভুক্ত ‘খ’ ইউনিটের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা।
আজ শনিবার (২ অক্টোবর) সকাল ১১টা থেকে এই পরীক্ষা শুরু হয়। শেষ হয় সাড়ে ১২টায়।
ভর্তি পরীক্ষাকেন্দ্রিক শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি ও আর্থিক ক্ষতির দিকটি লক্ষ্য রেখে এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সাতটি বিভাগীয় শহরে একযোগে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হচ্ছে- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞার ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়।
এ বছরের ভর্তি পরীক্ষায় মোট ৫টি ইউনিটে ৭ হাজার ১৪৮টি আসনের বিপরীতে মোট আবেদন করেছে ৩ লাখ ২৪ হাজার ৩৪০ জন। তার মধ্যে, খ ইউনিটে আবেদনকারীর সংখ্যা ৪৭ হাজার ৬৩৯। আসন সংখ্যা ২ হাজার ৩৭৮টি। প্রতি আসনের বিপরীতে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২০.০৩৩। ঢাকায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৮৮৫৩ জন। ঢাকার বাইরে সাত বিভাগীয় শহরে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৮৭৮৬ জন।
ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে মোট ১২০ নম্বরে। তার মধ্যে লিখিত ও বহুনির্বাচনী ১০০ এবং এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ২০ নম্বর। পরীক্ষা চলাকালীন 'খ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলা অনুষদ কেন্দ্র পরিষদ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহম্মাদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী প্রমুখ।
পরীক্ষা হল পরিদর্শন শেষে উপাচার্য সাংবাদিকদের বলেন, পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা দিচ্ছে। ঢাকার বাইরের কেন্দ্রগুলোতেও সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা হচ্ছে। এ সময় জালিয়াতি ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, পরীক্ষার প্রশ্ন অন্যান্য বছরের তুলনায় কঠিন হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, এবারের পরীক্ষায় লিখিত অংশের সঙ্গে বাংলার ও ইংরেজি বহুনির্বাচনী অংশ কঠিন হয়েছে। যার ফলে অনেক শিক্ষার্থী বহুনির্বাচনী অংশে ভালো করতে পারেনি। আবার লিখিত অংশ সহজ না হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী ঠিকমতো লিখতে পারেনি।
তবে, অনেক শিক্ষার্থী পরীক্ষা ভালো না হওয়ার পেছনে অন্য কারণ বলেছেন। তারা জানিয়েছেন, অনেক পরীক্ষা হলে ঘড়ি ছিল না, ফ্যান ছিল না। যার কারণে অনেক শিক্ষার্থী সময়ের সঙ্গে মিলিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি।