রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে চুল কাটায় শিক্ষক বরখাস্ত, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:২৮ পিএম, ১ অক্টোবর,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:৩৯ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেয়ার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়টির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যায়ন বিভাগের শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এছাড়া অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখার নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। এছাড়া স্থগিত করা হয়েছে সকল পরীক্ষা। তবে তদন্ত সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ভিসি আব্দুল লতিফ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রাত ৮টায় সিন্ডিকেটের সদস্যরা জরুরি বৈঠকে বসেন। সেখানে ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনকে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর তাকে চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করা হবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ভিসি আব্দুল লতিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর আবু মো. দেলোয়ার হোসেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব-৩ সৈয়দা নওয়ারা জাহান ও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. সোহরাব আলী। এসময় এ ঘটনায় উপস্থিত সদস্যরা দুঃখ প্রকাশ করেন।
এর আগে চুল কেটে দেয়ার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে মুখে তিন পদ থেকে পদত্যাগ করেন ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন। তিনি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ বিভাগের চেয়ারম্যানের পদ, সিন্ডিকেটের সদস্য ও প্রক্টর কমিটির সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তবে তার স্থায়ী পদত্যাগের দাবিতে এখনো আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ভিসি আব্দুল লতিফের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন। মঙ্গলবার রাতে তিনি এ পদত্যাগপত্র জমা দেন।
এদিকে ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের স্থায়ী পদত্যাগের দাবিতে অনশন করছেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে এই অনশন পালন করেন শিক্ষার্থীরা। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।