দেড় বছর পর আজ খুলছে ঢাবির গ্রন্থাগার, চলবে পরিবহন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:২৬ পিএম, ২৬ সেপ্টেম্বর,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০১:৫৮ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
দীর্ঘ দেড় বছর বন্ধের পর শর্তসাপেক্ষে আজ থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য খুলছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গ্রন্থাগার। গ্রন্থাগারে শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে কর্তৃপক্ষ।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অন্তত এক ডোজ টিকা নেওয়ার ও বৈধ পরিচয়পত্র দেখানোর শর্তে আজ সকাল ১০টা-বিকাল ৫টা পর্যন্ত অনার্স চতুর্থ বর্ষ ও মাস্টার্সের শিক্ষার্থীরা গ্রন্থাগারসমূহ ব্যবহার করতে পারবে। সরেজমিন দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সামাজিক দূরত্ব নির্দেশক গোল চিহ্ন আঁকা হয়েছে। জীবাণুমুক্ত রাখার জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারিক অধ্যাপক ড. মো. নাসির উদ্দিন মুন্সী বলেন, আজ গ্রন্থাগার খুলে দেওয়া হবে। আমরা এরই মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছি। শিক্ষার্থীদের সামাজিক দূরত্ব মেনে প্রবেশের জন্য প্রতি ৩ ফুট দূরত্বে বৃত্তাকার চিহ্ন দেওয়া হয়েছে। প্রবেশের সময় শিক্ষার্থীদের জন্য মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার থাকবে, হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
প্রবেশের সময় অবশ্যই টিকা কার্ড এবং বৈধ পরিচয়পত্র দেখাতে হবে। তাছাড়া ভিতরেও স্বাস্থ্যবিধি মেনেই বসতে হবে। বাহির থেকে কোনো বই নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না। চাকরিপ্রার্থীদের প্রবেশের সুযোগ না থাকার কথা জানান তিনি। এদিকে গ্রন্থাগারে পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের বহনের জন্য সীমিত পরিসরে চালু হচ্ছে পরিবহন সেবা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহন অফিসের ম্যানেজার কামরুল হাসান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমিত পরিসরে আমাদের বাস চলাচল করবে। প্রতি রুটে একটি বাস আপে এবং একটি ডাউনে থাকবে। শুধু চতুর্থ বর্ষ ও মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা লাইব্রেরিতে পড়তে আসবে তাদের আনা নেওয়ার কাজে এগুলো চলবে।
ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি মানা ছাড়াও গ্রন্থাগার ব্যবহারে বিশ্ববিদ্যালয় যেসব নির্দেশনা দিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে, ব্যবহারকারীদের বইয়ের তাকের কাছে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না। গ্রন্থাগারের কর্মীরা তাদের প্রয়োজনীয় অনুসন্ধানে সহায়তা করবেন। গ্রন্থাগারে দলগত আলোচনা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ থাকবে। গ্রন্থাগারের ফটোকপি, প্রিন্ট মেশিনগুলো আপাতত ব্যবহার করা যাবে না।