মাউশির নির্দেশনা মানছেনা কুষ্টিয়া জিলা স্কুলসহ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫৯ পিএম, ১০ সেপ্টেম্বর,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ১১:২৯ এএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
করোনা সংক্রমনের কারনে ২০২০ সালের ১৮মার্চ থেকে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এসময়ে অভিভাবকরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ায় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে শুধু টিউশন ফি নেবে মাধ্যমিক পর্যায়ের সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
২০২০ সালের ১৮ নভেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক স্বাক্ষরিত (স্মারক নম্বরঃওএম/৯১-সম/২০০৮-২৪৮) এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারী করা হয়েছে।
নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহ ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকে শুধু টিউশন ফি গ্রহন করবে কিন্তু অ্যাসাইনমেন্ট, টিফিন, পুনঃভর্তি, গ্রন্থাগার, বিজ্ঞানাগার, ম্যাগাজিন ও উন্নয়ন বাবদ কোনও ফি নেওয়া যাবে না। কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তা নিয়ে থাকলে তা ফেরত দিতে হবে অথবা টিউশন ফি'র সাথে সমন্বয় করে নিতে হবে।
সরকারী এই নির্দেশনা মানা হচ্ছে না কুষ্টিয়া জিলা স্কুল ও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে। এবছরের চলতি মাস পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে কম্পিউটার ও আইসিটি খাতে অর্থ আদায় করেছে এই দুই সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের তথ্যমতে এখানে প্রভাতী ও দিবা শাখা মিলে মোট ২৩৫৯ জন ছাত্র অধ্যায়নরত। কুষ্টিয়া সরকারী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের তথ্যমতে এখানে দুই শিফট মিলে ২২৭৪ জন ছাত্রী অধ্যায়ন করে। উভয় স্কুলই ষষ্ঠ শ্রেনী থেকে দশম শ্রেনী পর্যন্ত কম্পিউটার ও আইসিটি খাতে ছাত্রছাত্রীদের নিকট হতে প্রতি মাসে ২০ টাকা করে আদায় করে থাকে।
এতে কুষ্টিয়া জিলা স্কুল প্রতি মাসে প্রায় ২৯৪৮০ টাকা আর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় প্রায় ২৮৪২০ টাকা মূল বেতনের সাথে কম্পিউটার ও আইসিটি খাতে শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে আদায় করেছে। দীর্ঘ ১৭ মাস বন্ধ থাকার সময়েও এটা বন্ধ হয়নি। যা মাউশি তথা সরকারি নির্দেশনার পরিপন্থী। করোনার এই বন্ধ থাকার সময়েই কুষ্টিয়া জিলা স্কুল বিধিবহির্ভূত ভাবে শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে আদায় করেছে ৫ লাখ ১হাজার ১শত ৬০ টাকা আর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় আদায় করেছে ৪লাখ ৮৯ হাজার ৯শত ৪০টাকা।
কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ এফতে খাইরুল ইসলাম বলেছেন, আইসিটির জন্য অর্থ আদায় করার অনুমোদন আছে। এ খাত থেকে কম্পিউটার রক্ষণাবেক্ষণ ও ল্যাব পরিচালনার খরচ মেটানো হয়।
কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহাঃ মোজাম্মেল হক বলেছেন, স্কুল বন্ধ থাকলেও কম্পিউটার ও আইসিটি সংক্রান্ত কাজ সবসময়ই করতে হয়। এ খাতে বরাদ্দ না থাকায় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেয়া হয়।
কুষ্টিয়া জেলা শিক্ষা অফিসার জায়েদুর রহমান বলেছেন, মাউশির বিঞ্জপ্তিতে এ্যসাইনমেন্ট, টিফিন, পুনঃভর্তি, গ্রন্হাগার, বিঞ্জানাগার, ম্যাগাজিন ও উন্নয়ন বাবদ ফি না নেয়ার কথা বলা আছে। কম্পিউটার ও আইসিটির কথা উল্লেখ নেই।