কুমারখালীতে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ কর্তৃক ছাত্র যৌন হয়রানির শিকার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৩৮ পিএম, ৫ সেপ্টেম্বর,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:৩৩ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ কর্তৃক ছাত্র যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে। গত মঙ্গলবার উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের বড় মাজগ্রাম এলাকার দারুল উলুম হাফিজিয়া ও কওমি মাদ্রাসায় এই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর থেকেই অধ্যক্ষ পলাতক রয়েছে।
অভিযুক্ত মাদ্রাসার অধ্যক্ষ পাবনা সদর থানার চরভবানীপুর গ্রামের কেসমত ওরফে কেচোর ছেলে মুফতি আবুল হাসান।
শনিবার সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, গত ২৯ আগস্ট (মঙ্গলবার) রাতে ফোনে ঘটনার শিকার মাদ্রাসার ছাত্র তার বড় ভাই সুলাইমান কবিরকে জানায় অধ্যক্ষ তাকে দিয়ে শরীরের আপত্তিকর স্থান ম্যাসাজ করায় এবং জোরপূর্বক অনৈতিক কাজ করে। তিনদিন এভাবে করার পর সে বাধা দিলে অধ্যক্ষ তাকে মেরে ফেলার হুমকী দেয়। ঘটনা জানার পর ৩০ আগস্ট কবির গিয়ে তার ছোট ভাইকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। এবং মাদ্রাসা কমিটিকে বিষয়টি অবহিত করলে তারা বিচারের আশ্বাস দিলেও পরবর্তীতে কোন পদক্ষেপ নেননি। যেকারণে এখনও থানায় কোন অভিযোগ দেয়া হয়নি।
এ বিষয়ে মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি সাদ আহাম্মেদ বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। ঘটনার পর থেকেই অধ্যক্ষ পলাতক রয়েছে এবং ইতিমধ্যে মাদ্রাসার সকল ছাত্রদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হাসান খুবই গর্হিত কাজ করেছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা আমাদের উচিৎ ছিলো।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, এখনো পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।