মানবতার জীবন যাপন করছেন আলফাডাঙ্গার প্রাইভেট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:২০ পিএম, ২৮ আগস্ট,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:২৫ এএম, ২৫ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
মহামারী করোনার হানায় বাংলাদেশসহ সারা বিশ্ব যখন লন্ডভন্ড। শিশু শিক্ষার্থীসহ সকল শিক্ষার্থীদের নিরাপদ রাখতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশ মোতাবেক দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। আর এতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে দেশের বেসরকারী প্রাইভেট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও ওই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারীরা।
এদের অনেকে উচ্চশিক্ষা লাভের পর সরকারী কোন চাকুরী না পেয়ে আশায় বুক বেঁধে প্রাইভেট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলো গড়ে তুলেছেন। এতে একদিকে যেমন শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেশে শিক্ষার মান উন্নয়নে অবদানের পাশাপাশি ক্ষুদ্র উপার্জনের মাধ্যমে পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর ব্যাবস্থা হয়েছিলো। তা ভেস্তে গেছে।
সরকারী এবং এমপি’ও ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলি বন্ধ থাকলেও তাদের বেতন চলোমান রয়েছে কিন্তু এক বেলা খেয়ে না খেয়ে সারাদেশের ন্যায় মানবতার জীবন যাপন করছেন আলফাডাঙ্গার বেসরকারী ১২টি প্রাইভেট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতাধিক শিক্ষক এবং ২৫জন দপ্তরী ও আয়া।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে রয়েছে, আলফাডাঙ্গা সদরে অবস্থিত অর্নিবাণ প্রিক্যাডেট এন্ড হাইস্কুল, উপজেলা চত্বরে অবস্থিত কোয়ালিটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল, সদরে অবস্থিত বেগম ছালেহা একাডেমী, কামার গ্রামে অবস্থিত বেগম শাহানারা একাডেমী, গোপালপুর সদরের আনোয়ারা শিশু পল্লি একাডেমী, হেলেঞ্চায় অবস্থিত সানরাইজ কিল্ডার গার্টেন এন্ড মর্ডাণ একাডেমী এবং এ,জেড হেমায়েত কিল্ডার গার্টেন, পাকুড়িয়ায় অবস্থিত মেধাবিকাশ কিল্ডার গার্টেন, বেড়ির হাটে অবস্থিত এম,এম একাডেমী, শিরগ্রাম কেজী স্কুল, বারাংকুলা চাইল্ড একাডেমী ও মহিষার ঘোপ কেজিস্কুল।
আলফাডাঙ্গা সদরে অবস্থিত অর্নিবাণ প্রিক্যাডেট এন্ড হাইস্কুলের অধ্যক্ষ মোঃ মাসুদুর রহমান বলেন আমিসহ আমার প্রতিষ্ঠানে ১৪জন শিক্ষক, ১জন দপ্তরী, ১জন আয়া ও ১জন ঝাড়ুদার রয়েছে এই প্রতিষ্ঠানে। চাকুরীর সুবাদে এদের পরিবার গুলো কোনোমতে দু-মুঠো ভাত খেয়ে বেঁচে ছিলো। অনেকদিন প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অর্থ সংকটে বেতন দিতে পারছিনা।
সানরাইজ কিল্ডার গার্টেন এন্ড মর্ডাণ একাডেমীর অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ্ আল- মামুন বলেন ১১জন শিক্ষক এবং ১জন দপ্তরী নিয়ে ভালই চলছিলো আমার প্রতিষ্ঠানটি হঠাৎ করোনায় সব লন্ডভন্ড হয়ে গেলো। একই অবস্থা সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের।
এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম জাহিদুল হাসান জাহিদ বলেন প্রাইভেট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোকে রক্ষায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে জরুরী সরকারী সহয়তার দাবী জানাচ্ছি।
মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল আওয়াল আকন বলেন, প্রাইভেট স্কুল গুলোর শিক্ষকরা মানবতার জীবন যাপন করছেন তাদের সরকারী সহায়তার ব্যবস্থা করা হলে প্রতিষ্ঠান গুলো রক্ষাপাবে। উপজেলা শিক্ষা অফিসার প্রিতিকনা বিশ্বাস বলেন এই আপত কালীন সময়ে প্রাইভেট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর শিক্ষদের সরকারী ভাবে অর্থনৈতিক সহযোগিতা দিলে শিক্ষার্থীদের অকালে ঝরে পড়াথেকে রক্ষা পাবে।
প্রধানমন্ত্রীর কাছে উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর প্রধানদের আবেদন, এই আপদকালীন সময়ে সরকারী প্রতিষ্ঠান গুলোর মত তাদের পাশে থেকে অর্থ সহায়তা দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোকে রক্ষায় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিবেন।