শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আবারও বাড়লো
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:২৪ এএম, ২৭ আগস্ট,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৮:৪২ পিএম, ১৭ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং এবতেদায়ি ও কওমি মাদ্রাসাগুলোর চলমান ছুটি আগামী ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারাদেশে করোনা পরিস্থিতি আরও অবনতি হওয়ায় এবং কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর থাকায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং সার্বিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে পরামর্শক্রমে দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং এবতেদায়ি ও কওমি মাদ্রাসাগুলোর চলমান ছুটি আগামী ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
১৭ অক্টোবর থেকে ধাপে ধাপে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে এর আগে টিকা সংক্রান্ত সব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছক আকারে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) তথ্য পাঠাতে হবে। যে বিশ্ববিদ্যালয় শতভাগ টিকার আওতায় আসবে সে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন হলসহ সব কার্যক্রম শুরু করতে পারবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ টেকনিক্যাল কমিটির সঙ্গে বৈঠক হয়। সেখানে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তবে এর আগে বৈঠকে ১৫ অক্টোবর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় খোলার কথা জানানো হয়। কিন্তু পরে এদিন শুক্রবার হওয়ায় সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ১৭ অক্টোবর (রবিবার) করা হয়।
বৈঠকে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের আলোচনা শেষে ইউজিসি চেয়ারম্যান কাজী শহীদুল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে জানতে চান শিক্ষামন্ত্রীর কাছে। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে ধাপে ধাপে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা যেতে পারে। তার আগে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কতজন শিক্ষক-শিক্ষার্থী টিকা নিয়েছেন তার তথ্য ছক আকারে ইউজিসিতে পাঠাতে হবে। তার মধ্যে কতজন টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন, আর কতজন এক ডোজ নিয়েছেন, আবাসন হলের কতজন শিক্ষার্থী টিকার আওতায় এসেছে এ সংক্রান্ত তথ্য ইউজিসিতে পাঠাতে হবে।
বৈঠকে আরও বলা হয়, যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) আছে, কিন্তু টিকা পাননি তাদের তথ্য পাঠাতে। আর যাদের এনআইডি নেই তাদেরও তথ্য পাঠাতে বলা হয়। গণটিকা চালুর আগে তাদের এনআইডি করে দ্রুত সময়ে টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এটা না হলে বিকল্প ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানানো হয়।
দীপু মনি বলেন, তথ্য বিবেচনা করে সন্তোষজনক হলে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার অনুমোদন দিতে পারবে ইউজিসি। তবে যাদের টিকা কার্যক্রম শেষ হবে না তাদের বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেন তিনি।
এদিকে একই বৈঠকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আবারও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। এই ছুটি বাড়ানো হয় ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।