প্রমোশনের নিয়ম বাতিল চেয়ে ৭ কলেজের শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৩২ পিএম, ৯ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২০ | আপডেট: ০৩:৩২ এএম, ২৮ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
প্রমোশনের নিয়ম বাতিল ও সর্বনিম্ন তিন বিষয় পর্যন্ত অকৃতকার্যদের প্রমোশনসহ ছয় দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
আজ বুধবার দুপুরে ঢাকা কলেজের সামনে এই মানববন্ধন করেন তারা। দাবি মানতে তিন দিনের সময় বেধে দেন আন্দোলনকারীরা। এর মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সকাল ১০টায় মানবন্ধন করার কথা থাকলেও পুলিশের বাধায় পণ্ড হয়ে যায় সেই কর্মসূচি। এরপর দুপুরে ঢাকা কলেজের সামনে মানবন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ছয় দফা দাবি কার্যকর না করার প্রতিবাদে তাদের এই মানবন্ধন। এ দাবি ইতোপূর্বেও মানবন্ধনের মাধ্যমে জানানো হয়েছিল এবং সংশ্নিষ্ট কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে লিখিত আকারে জানানো হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘদিনেও দাবিগুলো বাস্তবায়িত না হওয়ায় প্রতিবাদে আবারো এই মানবন্ধন।
তাদের অন্যান্য দাবিগুলো হলো- অনার্স ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের দ্বিতীয় বর্ষের ইম্প্রুভ পরীক্ষা আগামী এক মাসের মধ্যে নেওয়া ও তৃতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা অতি দ্রুত নিয়ে ফলাফল প্রকাশ করা; ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থীদের চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা অতিদ্রুত নিয়ে ফলাফল প্রকাশ করা; সকল বর্ষের ফলাফল সর্বোচ্চ ৯০ দিনের মধ্যে প্রকাশ করা ও একটি সেশনে একের অধিক বর্ষের শিক্ষার্থী না রাখা; ডিগ্রি ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের চলমান বিশেষ পরীক্ষা অতিদ্রুত নিয়ে এক মাসের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা এবং সকল ইম্প্রুভ পরীক্ষা অতিদ্রুত নেওয়া এবং ডিগ্রি অনার্স, মাস্টার্সসহ সকল বর্ষের ফলাফল গণহারে অকৃতকার্য হওয়ার কারণসহ খাতা পুনর্মূল্যায়ন করা।
মানবন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, পরীক্ষার ১১ মাস পর আমাদের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এখন জানতে পারছি যে আমরা পরবর্তী বর্ষে প্রমোশন পাইনি। ফলাফলে গণহারে ফেল এসেছে। ইংরেজি বিভাগে পাসের হার ২১ শতাংশ, অর্থনীতিতে ২৯ শতাংশ, বাংলায় ৩১ শতাংশ, রাষ্ট্রবিজ্ঞানেও অনেক ফেল। 'সিজিপিএ২'-এর নিয়মের কারণে পাঁচ বিষয়ে পাস করার পরও আমরা পরবর্তী বর্ষে প্রমোশন পাচ্ছি না। ফেল আসা বিষয়ে পরের বছর পরীক্ষা দিতে গেলে ৮০০ টাকা লাগে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কি বাণিজ্য খুলে বসেছে?'
তারা বলেন, আমরা নিজ নিজ কলেজের অধ্যক্ষ, বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিন কার্যালয়, উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে এ বিষয়ে স্মারকলিপি দিয়েছি। কিন্তু আমরা কোনো জায়গা থেকেই কোনো সাড়া পাইনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলে বলে কলেজে যেতে আর কলেজ থেকে বলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাও। আমরা এখন যাব কার কাছে? এখন রাস্তাই আমাদের ঠিকানা।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর চাপ কমাতে ঢাকার সাতটি সরকারি কলেজকে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। কলেজগুলো হলো- ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ এবং সরকারি তিতুমীর কলেজ।