ইবির অফিস আদেশে এত ভুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৩২ পিএম, ৩১ জুলাই,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:১২ এএম, ১৭ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কয়েক দফা অফিস আদেশে বানান ভুল, জোড়াতালি ও ভুল তথ্য উপস্থাপনের অভিযোগ উঠেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অসচেতনতা ও অবহেলার কারণে বারবার এমনটা হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সমালোচনার ঝড় তুলেছেন।
রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত কয়েকটি নোটিশে দেখা যায়, ১৪ জুলাই এক অফিস আদেশে কোভিড-১৯ এর স্থলে ইংরেজিতে 'কোভিট-১৯', সংক্রমণের স্থলে 'সংক্রমন', কারণের স্থলে 'কারন' এবং আগস্ট বানানের স্থলে 'আগষ্ট' লেখা হয়েছে। এর আগে ১৪ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে একটি অফিস আদেশে ১৭/০৩/২০২১-এর স্থলে ১৭/০৩/২০১৯ লিখে ভুল তথ্য উপস্থাপন করা হয়।
এদিকে করোনায় ছুটি বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপনে 'যতদিন লকডাউন চলমান থাকবে ততদিন' এ অংশটুকু জোড়াতালি দিয়ে যুক্ত করা হয়। এসব বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। একটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন সব অসঙ্গতি কোনোভাবেই কাম্য নয় বলে দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষকরা। তাদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের অসচেতনতা ও অবহেলার দরুন বারবার এমন ঘটনা ঘটছে।
আরাফ মাহি নামের এক শিক্ষার্থী এক ফেসবুক গ্রুপের কমেন্ট বক্সে লেখেন, 'টাকা দিয়ে চাকরি নিলে এগুলো দেখা স্বাভাবিক। একটি উচ্চতর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এটা দেখা আসলেই লজ্জাজনক।' নাজমুন নাহার কণা নামের আরেক শিক্ষার্থী লেখেন, 'কম্পোজ করার সময় ও পরে কোনো কর্তৃপক্ষ মনে হয় তাকিয়েও দেখে না, যে কি লেখা হলো। তাই তো বানানের এ বেহাল দশা।' আপিব আহমেদ নামের এক শিক্ষার্থী লেখেন, 'অদক্ষদের নিয়ে রেজিস্ট্রার অফিস চালালে বানানের দশা এমনই হয়। যেখানে চতুর্থ শ্রেণির একজন কর্মচারী প্রমোশন পেয়ে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা হয়ে যাচ্ছে, সেখানে তাদের দ্বারা কি আশা করা যায়?' তাহমিদ হাসান শোভন নামের এক শিক্ষার্থী লেখেন, 'বানান ভুল ইবির রক্তে। ভর্তি পরীক্ষার রেজাল্ট শিট, নোটিশের মতো গুরুত্বপূর্ণ লেখাগুলোতেও প্রতিবার অনেক বানান ভুল থাকে, যা নিঃসন্দেহে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকে কলুষিত করে।'
অভিযোগ সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মু. আতাউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, 'এগুলো কম্পিউটার অপারেটর করে। এই চিঠি হয়তো নিচতলা থেকে হয়েছে। বন্ধের মধ্যে কখন, কোথা থেকে চিঠি হয় খোঁজ থাকে না। কোথায় কোন বানান ভুল হচ্ছে এসব না দেখে যেসব উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে তা নিয়ে লেখেন।'
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, 'বিষয়টি আমার জানা ছিল না। এসব বিষয়ে অসচেতনতা কখনো কাম্য নয়। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নেব।'