বুয়েট শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি, তদন্ত কমিটি গঠন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫২ পিএম, ২৮ জুলাই,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০২:৪৭ এএম, ১৮ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) এক নারী শিক্ষার্থীকে মেসেঞ্জারে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থীর আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও পাঠিয়ে যৌন হয়রানির ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
গতকাল মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) সন্ধ্যায় বুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক সত্যপ্রসাদ মজুমদার এই তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়টির ছাত্রকল্যাণ পরিচালক (ডিএসডব্লিউ) অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, হেনস্থার শিকার ওই নারী শিক্ষার্থী আমার কাছে লিখিত কোনো অভিযোগ করেননি। তার পক্ষ হয়ে ওই ব্যাচের শ্রেণি প্রতিনিধি বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের উপাচার্য এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছেন।
তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও তদন্ত কার্যক্রম নির্বিঘ্ন করার স্বার্থে গঠিত কমিটির প্রধান ও অন্যান্য সদস্যের নাম গণমাধ্যমে প্রকাশ করছে না বুয়েট প্রশাসন।
অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান জানান, জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি আজ থেকেই কাজ শুরু করবে। হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী বুয়েটের যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধে গঠিত কমিটিও বিষয়টি অবগত আছে। তদন্ত শেষে যথাযথ প্রক্রিয়ায় বিচারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
বুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের ১৯তম ব্যাচের এক নারী শিক্ষার্থীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে উঠে একই ব্যাচের জারিফ হোসাইন ও তার তিন বন্ধুর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত বাকিরা হলেন- সালমান সায়ীদ, জারিফ ইকরাম ও জায়ীদ মনোয়ার চৌধুরী।
১৯ ব্যাচের অন্য এক শিক্ষার্থী হাফিজুল হক চৌধুরীর ফেসবুক পোস্ট থেকে জানা যায়, অভিযুক্ত জারিফ হোসাইন ভুক্তভোগী নারী সহপাঠীকে পছন্দ করতেন। তবে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তার আহ্বানে সাড়া না দিলে তিনি এক পর্যায়ে তাকে যৌন হয়রানি করতে শুরু করেন। আর এর পেছনে ইন্ধন দিয়েছেন জারিফের তিন বন্ধু। জারিফ ও তার সেই তিন বন্ধু মিলে একটি মেসেঞ্জার গ্রুপ খোলেন। ওই গ্রুপেই মেয়েটিকে যৌন হয়রানি করার বিভিন্ন পরিকল্পনা করা হয়।
তারই সূত্র ধরে মেয়েটিকে একের পর এক নিজের অর্ধনগ্ন ছবি পাঠাতে থাকেন জারিফ। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হাফিজুল হক চৌধুরীর পোস্টটি ভাইরাল হয়ে যায়।