স্মার্টফোন বেশি ব্যবহারে ক্ষতি গর্ভস্থ সন্তানের!
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৩:১৭ এএম, ৬ ফেব্রুয়ারী,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০২:২২ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
বর্তমানে মোবাইল ফোন আমাদের জীবনের অপরিহার্য অঙ্গ। স্মার্টফোন ছাড়া আমাদের জীবন এখন আমরা কল্পনাও করতে পারি না। টিনএজার থেকে বয়স্ক মানুষ, সবার হাতেই এখন রয়েছে মুঠোফোন। দিনের একটা বড় সময় স্মার্টফোনে চোখ রেখেই কেটে যায় আমাদের। এমনকি কারো কারো মধ্যে এই স্মার্টফোন ঘাঁটাঘাঁটি রীতিমতো নেশার পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। বেশিক্ষণ স্মার্টফোনে মুখ গুঁজে থাকার নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে আমাদের বারবার সাবধান করেছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে গর্ভবতীদের স্মার্টফোন নিয়ে অতিরিক্ত ঘাঁটাঘাঁটি অত্যন্ত ক্ষতিকর।
গবেষণায় দেখা গেছে যে, মোবাইল ফোনের নীলচে আলো আমাদের চোখের পক্ষে ক্ষতিকর। এই নীলচে আলোর প্রভাব গর্ভস্থ সন্তানের জন্যও হানিকর হতে পারে। যদি গর্ভবতী মহিলারা খুব বেশি সময় মোবাইল দেখেন তাহলে সন্তান নানা ধরনের ব্যবহারিক সমস্যা নিয়ে জন্মাতে পারে। ডেনমার্কের বিশেষজ্ঞরা গবেষণা করে দেখেছেন যে, জন্মের আগে ও পরে শিশুর শরীরে মোবাইলের নীলচে আলোর প্রভাব যদি বেশি পড়ে, তাহলে তার মধ্যে ব্যবহারগত নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
সাত বছর বয়সী সন্তান রয়েছে এমন বেশ কয়েকজন মহিলার ওপরে এই গবেষণা চালানো হয়। গর্ভবতী অবস্থায় এরা কত সময় ধরে মোবাইল দেখতেন এবং বর্তমানে এদের সন্তানদের স্বাস্থ্য ও ব্যবহার নিয়ে একগুচ্ছ প্রশ্ন করা হয় এই মহিলাদের। সমীক্ষায় পর গবেষকরা এই সিদ্ধান্তে আসেন, যেসব মহিলা গর্ভবতী অবস্থায় বেশি সময় মোবাইল দেখতেন, তাদের সন্তানদের হাইপারঅ্যাক্টিভিটি এবং ব্যবহারগত সমস্যা রয়েছে।
তবে এটা একটা সমীক্ষার ফল। এ বিষয়ে এখনই কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে রাজি নন বিশেষজ্ঞরা। গর্ভাবস্থায় মোবাইলের ব্যবহার এবং সন্তানের ক্ষতির কোনো সরাসরি সংযোগের প্রমাণ এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। মোবাইল থেকে যে ধরনের কম তরঙ্গযুক্ত রেডিও ওয়েভ নির্গত হয়, তা মাইক্রোওয়েভ, টেলিভিশন এবং ল্যাপটপ থেকেও নির্গত হয়। এক্স-রে এবং সিটি স্ক্যানের মেশিন থেকে এই ধরনের তরঙ্গ অনেক বেশি পরিমাণে নির্গত হয়। তাই মোবাইলের তরঙ্গ সত্যিই কতটা ক্ষতিকর তা এখনও প্রমাণিত হয়নি।
তবু বিশেষজ্ঞদের মত অনুযায়ী, গর্ভাবস্থায় এবং তার পরেও অতিরিক্ত মোবাইলের ব্যবহার নিয়ে সাবধান হওয়া জরুরি। তাই গর্ভাবস্থায় চেষ্টা করন কাউকে ফোন করতে হলে যত বেশি সম্ভব হ্যান্ডস ফ্রি ব্যবহার করতে। ঘরে থাকলে সম্ভব হলে ল্যান্ড লাইনে কথা বলুন। সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব বেশি ঘাঁটাঘাঁটি না করাই ভালো।