ফুড পয়জনিং হয়েছে কিনা বুঝবেন যেভাবে
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০২:৫৯ এএম, ৬ ফেব্রুয়ারী,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০১:১৮ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
খাদ্যে বিষক্রিয়া বা ফুড পয়জনিংয়ের সমস্যাটি যেকোন সময়ে যেকোন খাবার থেকেই দেখা দিতে পারে। পুরনো ও বাসি খাবার তো বটেই, অনেক সময় একসাথে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণের ফলস্বরূপও দেখা দিতে পারে ব্যথাদায়ক এই শারীরিক সমস্যাটি।
মুরগির মাংস, দুধ, পনির, ডিমসহ সবজি ও ফল থেকেও সৃষ্টি হতে পারে ফুড পয়জনিং। যেহেতু একেকজনের ক্ষেত্রে এই সমস্যায় শারীরিক লক্ষণগুলো একেকভাবে দেখা দেয়, তাই জেনে রাখা প্রয়োজন ফুড পয়জনিংয়ে কোন শারীরিক লক্ষণগুলো প্রকাশ পায় বেশিরভাগ সময়ে।
ঘাম হওয়া : ফুড পয়জনিং দেখা দেয়ার প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে কিন্তু পেটের সমস্যা দেখা দেয় না। এক্ষেত্রে সবার প্রথমে অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার লক্ষণটি প্রকাশ পায়। হুট করে শারীরিক অস্বস্তির সাথে ঘাম হওয়ার সমস্যা দেখা দিলে বুঝতে হবে ফুড পয়জনিং এর সমস্যা লুকিয়ে রয়েছে।
গ্যাস হওয়া : ফুড পয়জনিংয়ের ক্ষেত্রে পেটে ব্যথাভাব ও পেট ফুলে যাওয়ার সমস্যাটি দেখা দেবে বলে জানাচ্ছে মায়ো ক্লিনিক। কারণ খাদ্যজনিত ও হজমজনিত সমস্যার ফলে পেটে গ্যাস দেখা দেয়। এতে করে পেটে চাপ সৃষ্টি হয় এবং ব্যথা হয়।
জ্বরভাব : লিস্টেরিয়া (খরংঃবৎরধ) ও ক্যামপাইলোব্যাকটার (ঈধসঢ়ুষড়নধপঃবৎ) এর আক্রমণ হলে ফুড পয়জনিংয়ের ক্ষেত্রে জ্বরও চলে আসতে পারে। যদিও এই সমস্যাটি মূলত খাবারে হজমজনিত সমস্যা থেকে দেখা দেয়, তবে কিছু ক্ষেত্রে ফুড পয়জনিংয়ের ক্ষেত্রেও দেখা দিতে পারে। সাধারণত ৪৮ ঘণ্টার মাঝেই এই জ্বরভাব ভালো হয়ে যায়। তবে ৪৮ ঘণ্টা পার হয়ে গেলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
মাথা ঘোরানো ও বমিভাব : ফুড পয়জনিংয়ের ক্ষেত্রে মাথা ঘোরানো ও বমিভাব দেখা দেয়া একেবারেই প্রাথমিক লক্ষণ। তবে এ দুইটি লক্ষণ ফুড পয়জনিংয়ের কোন পর্যায়ে দেখা দেবে সেটা নির্ভর করে কোন ব্যাকটেরিয়ার দ্বারা আপনি আক্রান্ত হয়েছেন তার ওপরে। যেমন লিস্টেরিয়া (খরংঃবৎরধ) নামক ব্যাকটেরিয়া আক্রান্ত হওয়ার প্রায় ৭০ দিন পর লক্ষণ প্রকাশ পায়। অন্যদিকে স্যালমোনেলা (ঝধষসড়হবষষধ) ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হলে ১২-৭২ ঘণ্টার মাঝেই লক্ষণ প্রকাশ পায়।
ডায়রিয়া : ফুড পয়জনিংয়ের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণটি হলো ডায়রিয়া। খাবার হজমে সমস্যা ও পেটে খাবারের বিষক্রিয়ার ফলে সহজেই পাতলা পায়খানা দেখা দেয়। যদিও অবশ্য পূর্ণ বয়স্কদের ক্ষেত্রে পাতলা পায়খানার সমস্যাটি বেশি দেখা দেয়।
পানিশূন্যতা : অতিরিক্ত ঘাম ও ডায়রিয়ার সমস্যা থেকেই শরীরে পানির অভাব দেখা দেয়। এ সময়ে শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের মাত্রা একেবারেই কমে যায় বলে বারবার পানি পানের ওপরে জোর দিতে হবে।