ভিটামিন ‘ডি’র ঘাটতি পূরণে কী করবেন
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৩:৩১ এএম, ৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০১:২৩ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
ভিটামিন ‘ডি’ শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি উপাদান। এর ঘাটতি হলে শরীরের সামগ্রিক ক্রিয়া নানাভাবে বিঘিœত হয়। একটা সময় শরীরে বড় রোগের ঝুঁকি তৈরি হয়।
ভিটামিন ‘ডি’র ঘাটতি বোঝার উপায় ও তার পূরণে করণীয় সম্পর্কে পরামর্শ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ, এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. শাহজাদা সেলিম।
তবে তা প্রধানত প্রাপ্তবয়স্ক মানুষদের ক্ষেত্রে, যাদের ডায়াবেটিস আছে, হৃদরোগ-স্ট্রোক হয়েছে, প্রজনন সমস্যা আছে, পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম আছে ও দৈহিক স্থূলতায় আক্রান্ত, এদের নিয়েই আলোচনা আবর্তিত হচ্ছে।
সাম্প্রতিককালে গর্ভকালীন সময়ে ভিটামিন ‘ডি’র মাত্রা নিয়েও যথেষ্ট গবেষণা হচ্ছে। তবে শিশু-কিশোরদের ক্ষেত্রে ভিটামিন ‘ডি’র পরিমাণ ও অভাবজনিত সমস্যা আলোচনাটি এখনও ব্যাপক মাত্রা পায়নি, যদিও বিষয়টি ব্যাপক গুরুত্বের দাবিদার।
বাড়ন্তকালে শিশুদের দৈহিক কাঠামো তৈরি করার অন্যতম কাঁচামাল ক্যালসিয়াম- যা শরীরের ভিটামিন ‘ডি’ দ্বারা অনেকাংশে নিয়ন্ত্রিত হয়। শিশুদের দৈহিক বৃদ্ধি, দৈহিক স্থূলতা সবকিছু ভিটামিন ‘ডি’র সঙ্গে নিবিড়ভাবে সংশ্লিষ্ট।
বাংলাদেশসহ অনেক দেশেই কম বয়সী শিশু-কিশোরদের টাইপ-২ ডায়াবেটিস ক্রমশ বেশি মাত্রায় দেখা দেয়ার পেছনে ভিটামিন ‘ডি’-র ঘাটতি একটি বড় কারণ হয়ে থাকতে পারে। ভিটামিন ‘ডি’র ঘাটতিতে কিছু কিছু ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যেতে পারে।
নাম শুনে ভিটামিন মনে হলেও ভিটামিন ‘ডি’ আসলে একটি স্টেরয়েড হরমোন। অন্যান্য ভিটামিন যেখানে এন্টি অক্সিজেন বা কো-এনজাইম হিসাবে কাজ করে, ভিটামিন ‘ডি’ (স্টেরয়েড হরমোন) জিন এক্সপ্রেশন নিয়ন্ত্রণ করে অর্থাৎ দেহের প্রোটিন তৈরিতে নিয়ন্ত্রণকারীর ভূমিকায় থাকে।
প্রাণিজ ও উদ্ভিদজাত স্টেরল ও ফাইটোস্টেরল থেকে সূর্যালোকের অতি বেগুনি রশ্মি দ্বারা রূপান্তরিত হয়ে দেহে ভিটামিন ‘ডি’ তৈরি হয়। ভিটামিন ‘ডি-২’ ও ভিটামিন ‘ডি-৩’ মানবদেহে থাকে।
ভিটামিন ‘ডি’র পরিমাপ
রক্তের সিরামে ভিটামিন ‘ডি’র মাত্রা পরিমাপ করা হয়। একজন হরমোন বিশেষজ্ঞ বা অন্য কোনো চিকিৎসক যখন রোগীর দেহে ভিটামিন ‘ডি’র ঘাটতি সন্দেহ করলে তার রক্তের ভিটামিন ‘ডি’ [২৫(ঙঐ)উ] পরিমাপ করার উদ্যোগ নেবেন।
তবে ভিটামিন ‘ডি’ ঘাটতি ও পরবর্তী চিকিৎসা পদ্ধতি নিরূপণের জন্য রক্তের ক্যালসিয়াম, প্যারাথায়রয়েড হরমোন ও ফসফরাসের মাত্রাও দেখে নিতে হয়। রোগীর দেহে প্রাপ্ত ভিটামিন ‘ডি’র মাত্রা অনুসারে তাকে যে কোনো দলভুক্ত করা হয়।