খাওয়ার পর ১০ মিনিট হাঁটুন
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০১:৫৩ এএম, ২৯ সেপ্টেম্বর,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:৩৩ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
অনেকের মনে ভুল ধারণা রয়েছে, খাবার খাওয়ার পর হাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু খাওয়ার পর অল্প হাঁটা আপনার শরীরের বিপাকীয় ক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। এটি আপনার শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে সাহায্য করে এবং শরীরের বাড়তি ক্যালরি পুড়িয়ে ফেলে। শরীরকে যত সচল রাখবেন, ততোই সুস্থ থাকবেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, হাঁটা শরীরের পক্ষে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই মর্নিং কিংবা ইভিনিং ওয়াক করেন। পেট ভরে খাবার খাওয়ার পর অনেকেই বিশ্রামের উপায় খোঁজেন। তাতেই রোগের সম্ভাবনা বাড়ে। তাই খাবার খাওয়ার পর অন্তত ১০ মিনিট হাঁটা খুবই প্রয়োজন।
–খাবার খাওয়ার পর হাঁটলে হজম শক্তি বাড়ে। ফলে অ্যাসিডিটির সমস্যা অনেক কম হয়।
–খাওয়ার পরই বিশ্রাম নিলে শরীরে মেদ জমতে পারে। একটু হাঁটাচলা করে নিয়ে সেই সমস্যা খুব একটা হয় না।
ক্যালোরি, কার্বোহাইড্রেটের মতো খাবার বার্ন করার জন্য হাঁটার কোনো বিকল্প নেই। এই মোক্ষম হাতিয়ারেই আপনার শরীর স্লিম থাকবে।
সুগারের সমস্যা যাদের রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে খাওয়ার পর হাঁটার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ খাবারের পর রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে হেঁটে নিলে তা অনেকটাই কমে যায়।
রাতের খাবারের পর কিছুক্ষণ হাঁটলে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে, যা মানসিক চাপ কমায় আর আপনার ঘুম আগের চেয়ে তুলনামূলক বেশি হবে।
খাবার পরই খুব জোরে হাঁটবেন না। এই সময়ের হাঁটা হবে অল্প গতিতে। রিল্যাক্স করে হাঁটবেন তাতেই উপকার পাবেন। অযথা বেশি পরিশ্রম শরীরের পক্ষে ভালো নয়। প্রথমেই ১০ মিনিট হাঁটার প্রয়োজন নেই। ৫ থেকে ৬ মিনিট হাঁটতে শুরু করুন। শরীরকে সুস্থ রাখতে প্রতিদিন হাঁটার অভ্যাস করা উচিত।
হাঁটলে শরীরের প্রতিটি কোষে বিশুদ্ধ রক্ত এবং অক্সিজেন পৌঁছে যায়। ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং সহজেই অসুখে পড়ার প্রবণতা কমে।
হাঁটলে প্রচুর পরিমাণে ঘাম হয়। এতে ত্বকের লোমকূপগুলো খুলে যায় এবং শরীরের দূষিত পদার্থগুলো ঘামের মাধ্যমে বের হয়ে যায়। ফলে ত্বক উজ্জ্বল ও লাবণ্যময় দেখায়।