যেসব উপসর্গে বুঝবেন শরীরে কোলেস্টরল বেড়েছে
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০১:৪৪ এএম, ৩১ জুলাই,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:৫১ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
কোলেস্টরল এক ধরনের চর্বি। মানুষের খাদ্যাভ্যাসের কারণে শরীরে কোলেস্টরল বেড়ে যায়। আর এমন জীবনযাপন যদি করেন যেমন বেশি শুয়ে বসে থাকা। তারপর কিছু অভ্যাস আছে যেমন ধূমপান, মদ্যপান, জর্দা সেবন এসব কারণে হয়। আর কিছু রোগ রয়েছে কোলেস্টরলের জন্য দায়ী ডায়বেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি। আর কিছু ওষুধ আছে কোলেস্টরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
কোলেস্টরল কয়েক ধরনের হয়ে থাকেÑ ট্রাইগ্লিসারাইড, এলডিএল, এইচডিএল এবং টোটাল কোলেস্টরল। এর মধ্যে একটা হলো উপকারী। আর তিনটি শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এই কোলেস্টরল মাত্রা বেড়ে গিয়ে জমা হয় রক্তনালিতে। জমা হতে হতে রক্তনালির স্বাভাবিক যে রক্তস্রোত তা বাধাগ্রস্ত হয়। এর ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
এতে শরীরের যেমন ক্ষতি হয় তেমনই শরীরের বিভিন্ন অঙ্গও বিকল হয়ে যেতে পারে যে কোনো সময়ে। তাই কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণে রাখা ভীষণ জরুরি। রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমেই জানা যায় কোলেস্টরল বেড়েছে না ঠিক আছে। এছাড়া যাদের উচ্চ কোলেস্টরল রয়েছে তাদের মধ্যে বেশকিছু উপসর্গ রয়েছে যা দেখলেও বোঝা যায়। জেনে নিন কীভাবে।
গবেষকদের বক্তব্য, ত্বক সে কথা জানান দেয়। ইঙ্গিত বুঝে নেয়ার উপায় জানা থাকলেই হলো। ‘আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব ডার্মাটলজি’র বক্তব্য এমনই।
ত্বকে কী ধরনের পরিবর্তন দেখলে সাবধান হতে হবে? কখন কোলেস্টরলের মাত্রা বোঝার জন্য স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে?
কোলেস্টরল বেড়ে গেলে অনেক সময়ে কমলা চাকা চাকা দেখা দেয় ত্বকে। সাধারণ র্যাশের মতো নয়। কিছুটা হলদেটে ভাব থাকে। বিশেষ করে চোখের উপরে দেখা যায় এই ধরনের ফোলা ভাব।
অনেক সময়ে আবার মোমের মতো ফোলা ভাব দেখা দেয় শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে। হাত কিংবা গলায় এমন দাগ দেখে অনেকেই অ্যালার্জি ভাবতে পারেন। কিন্তু তা নয়। কাছে গেলেই বোঝা যায়, এর মধ্যে তেলতেলে ভাব আছে আবার হঠাৎ কিছু দিনের জন্য লালচে ভাব দেখা দেয় ত্বকে। তা আবার সেরেও যায় দিন কয়েকের মধ্যে।
‘জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল ইনভেসটিগেশন’-এ ২০১৭ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে জানানো হয়েছে, এ-ও হলো কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ারই লক্ষণ। এমন যে কোনো উপসর্গ দেখা দিলেই সাবধান হতে হবে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
জন্ডিস হলেও চোখের নিচে হলদে ভাব দেখায় তা কিন্তু নয়, কোলেস্টরল বেশি মাত্রায় থাকলেও চোখের নিচে হলদেটে ভাব দেখায়। এতে দেখতে কোনো সমস্যা হয় না কিন্তু একটানা বেশিদিন এরকম থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত।
রক্তে কোলেস্টরলের মাত্রা বেড়ে গেলে অনেক সময় রক্তনালি আটকে যায়। তখন মস্তিষ্কের রক্ত চলাচলে বাধা পড়ে। এতে ঘাড় ও মাথার পিছনে ভীষণ ব্যথা হয়। শুধু মাথাতেই নয়, ঘাড়েও অস্বস্তিকর ব্যথা হয়।
হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া শুধুমাত্র ব্যায়াম শারীরিক পরিশ্রম অথবা টেনশনের কারণেই হয় না। কখনও কখনও রক্তে কোলেস্টরলের মাত্রা বেড়ে গেলেও অনিয়মিত হৃৎস্পন্দন হতে পারে। যার থেকেই স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
অত্যধিক পরিমাণে ধূমপান, অ্যালকোহল পান, অতিরিক্ত ফ্যাট-জাতীয় খাওয়ার খেলে যে কোনো সময় কোলেস্টরলের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। নিয়মিত ফল, টাটকা শাক-সবজি অবশ্যই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখুন। তাহলে কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণে থাকে।