করোনা সংকটের মধ্যে খাদ্য সামগ্রীর লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি অমানবিক ও ভোক্তা অধিকারের লঙ্ঘন - ডা. শাহাদাত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৩৯ এএম, ২৪ মে,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০২:১৯ পিএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি'র আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বর্তমানে মানুষের আয়ের অনুপাতে কয়েকগুণ বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য। বাজারে চাল, ডাল, তেল, মাংস, মুরগী ও শাক সবজি থেকে শুরু করে প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। করোনা ভাইরাসের এই সংকটের মধ্যে খাদ্য সামগ্রীর লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি অমানবিক ও ভোক্তা অধিকারের লঙ্ঘন। এতে সাধারণ মানুষকে চরম ভোগান্তি পড়তে হচ্ছে। সরকার দলীয় অতি মুনাফালোভী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হওয়ায় এই সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। তার উপর তীব্র তাপদাহের কারনে প্রচন্ড গরমে নগরবাসীর জীবনযাত্রা কষ্টদায়ক হয়ে পড়েছে। কোন কোন এলাকায় ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় মানুষের কষ্ট আরো বেড়ে গেছে। কিন্তু সরকার এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ নির্বিকার। তিনি করোনার এই দুর্যোগ মূহুর্তে হতদরিদ্র মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিতে বিত্তশালী মানুষকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
আজ রবিবার বিকালে নগরীর ৬ নং পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডের রাহাত্তারপুল বড় কবরস্থান বিএনপি নেতা আবদুল আজিজের বাসভবনের সামনে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪০ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ১০ দিনব্যাপী কর্মসূচীর ৩য় দিনে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণকালে এসব কথা বলেন। এর আগে পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ড় বিএনপির সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর মরহুম দোস্ত মোহাম্মদের কবর জেয়ারত করেন নেতৃবৃন্দ।
এসময় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি প্রশ্নে যাছাই বাছাইয়ের নামে কাল ক্ষেপণের কৌশল করেছে সরকার। কেবলমাত্র দেশ ও জনগণের পক্ষে, গণতন্ত্রের পক্ষে আপসহীন অবস্থানের কারণে তিনি আজ সবচেয়ে মজলুম নেত্রী। কিন্তু উপ-মহাদেশের এই জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে আওয়ামী লীগ নোংরা রাজনীতি করছে। প্যারোলে মুক্তির নামে শর্ত দিয়ে রাজনীতি ও জনগণ থেকে দুরে রাখছে। তাকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে মানবতা বিরোধী অপরাধ করেছে সরকার।
দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে এদেশের সমৃদ্ধির প্রতিটি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তার সততা ও দেশপ্রেম ছিল সকল প্রশ্নের ঊর্ধ্বে ও ঈর্ষণীয়। তার সততা নিয়ে তার চরম শত্রুরাও কোনো প্রশ্ন তুলতে পারেনি। ২৫ মার্চের ভয়াল রাতে হানাদার বাহিনীর আক্রমণের সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলে আজো দেশবাসীর হৃদয়ে অমর হয়ে আছেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি'র যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, সদস্য আনোয়ার হোসেন লিপু, মো. কামরুল ইসলাম, মহানগর বিএনপি নেতা এম.এ হাশেম রাজু, ইবরাহিম বাচ্চু, মো. ইদ্রিস আলী, আবদুল আজিজ, ইসমাঈল বাবুল, নুরুল আলম, পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাসান লিটন, পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ড় বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজী এমরান উদ্দীন, বাকলিয়া থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আলমগীর, বিএনপি নেতা হাজ্বী ইলিয়াস শেকু, হাজ্বী আবুল বশর, হাজ্বী নিজামুল ইসলাম, মতিন কোম্পানী, হাজ্বী নাসির উদ্দীন, শওকত আলী, ফজল আজিম মাসুম, মো. নুর নবী, নগর যুবদলের সহসভাপতি নাছির উদ্দীন চৌধুরী নাসিম, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান টিপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিযাউর রহমান জিয়া, চান্দঁগাও থানা যুবদলের আহবায়ক গুলজার হোসেন, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক আবু বক্কর রাজু, নগর যুবদলের সহ সম্পাদক সাঈদুল ইসলাম, ওয়ার্ড যুবদলের আহবায়ক মো. এসকান্দর প্রমুখ।