ফরিদপুরে আ'লীগ সভাপতির বাড়িতে হামলা মামলার অভিযোগপত্র প্রদান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:২৬ পিএম, ২৬ এপ্রিল,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:৫২ এএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
ফরিদপুরে বহুল আলোচিত বরকত-রুবেল-ফোয়াদসহ ৪৯জনকে আসামি করে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে হামলার মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেওয়া হয়েছে।
গত শনিবার জেলার এক নম্বর আমলি আদালতে এ অভিযোগপত্র জামা দেন এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদপুর কোতয়ালী থানার পরিদর্শক (অপারেশন) শহিদুল ইসলাম।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, শহর আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ জেলা আওয়ামী লীগের উপর আধিপত্য বিস্তারসহ খবরদারি করার জন্যই পরিকল্পিতভাবে এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। এক্ষেত্রে শহর আওয়ামী লীগের ইফতার পার্টিতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির যোগ না দেওয়ার বিষয়টি অজুহাত হিসেবে দাঁড় করানো হয়েছিল মাত্র।
এ অভিযোগপত্রে জেলা ফরিদপুরের আলোচিত দুই ভাই শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত এবং ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেল এবং সাবেকমন্ত্রী ও ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের সাংসদ খন্দকার মোশাররফ হোসেনের এপিএস এ এইচ এম ফোয়াদ রয়েছেন।
৪৯জন আসামির মধ্যে বরকত ও রুবেলসহ ২৫জন গ্রেপ্তার আছেন। এএইচ এম ফোয়াদ, সাবেক কাউন্সিলর কৃষ্ণা সাহাসহ ২৪জন পলাতক রয়েছেন। গ্রেপ্তার হওয়া বরকত ও রুবেলসহ ২১জন আসামি আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদপুর কোতয়ালী থানার পরিদর্শক (অপারেশন) শহিদুল ইসলাম বলেন, গত শনিবার ফরিদপুর সদর আদালতে (এক নম্বর) আমলি আদালতে এ অভিযোগপত্র টি জমা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এরপর গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের উপস্থিতিতে চার্জ গঠন করার পর বিচারিক কার্যক্রম শুরু হবে।
২০২০ সালের ১৬ মে রাতে শহরের গোয়ালচামট এলাকার মোল্লা বাড়িতে অবস্থিত আওয়ামী লীগ সভাপতি সুবল সাহার বাড়ি যমুনা ভবন নামের বাড়িতে দুই দফা হামলার ঘটনা ঘটে। হামালাকারীরা ইট মেরে বাড়ির কাঁচের ক্ষতিসাধন করেন।
এ ব্যাপারে সুবল চন্দ্র সাহা নিজে বাদী হয়ে ঘটনার ৪৮ ঘন্টাপর ১৮ জুন রাতে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় অজ্ঞাত ব্যাক্তিদের আসামি করে এ মামলাটি করেন।
ওই মামলার সূত্র ধরে ওই বছর ৭ জুন রাতে বিশেষ অভিযানে শহরের বদরপুর এলাকায় অবস্থিত ফরিদপুর-৩ আসনের সাংসদ ও সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বাড়ি আফসানা মঞ্জিল এবং তার আশেপাশের এলাকাসহ শহরের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান করে নয়জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এদের মধ্যে ছিলেন খন্দকার মোশাররফের আস্থাভাজন ও ঘনিষ্টজন হিসেবে পরিচিত ফরিদপুরের আলোচিত দুই ভাই শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেল।