বিএনপির গণতন্ত্র হচ্ছে এক চিমটি লবণ, এক মুষ্টি গুড় আর আধাসের পানির মিশ্রনের মতো-কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:১৭ এএম, ৫ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২০ | আপডেট: ০১:৩০ পিএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
‘বিএনপির দলীয় নেতৃত্বের মধ্যেও এখন পারস্পরিক আস্থার সংকট চরমে। বিএনপি কথায় কথায় গণতন্ত্রের কথা বলে। কিন্তু তারা কোন গণতন্ত্রের কথা বলছে? তাদের ভাষায় গণতন্ত্র কি তাহলে হালুয়া-রুটির গণতন্ত্র? হাওয়া ভবনের গণতন্ত্র? নাকি রাতের বেলা কারফিউ জারির গণতন্ত্র? বিএনপির গণতন্ত্র হচ্ছে এক চিমটি লবণ, এক মুষ্টি গুড় আর আধাসের পানির মিশ্রনের মতো গণতন্ত্র। বললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের
আজ বুধবার (৪ নভেম্বর) তার সরকারি বাসভবন থেকে অনলাইন ব্রিফিংকালে একথা বলেন।
গণতন্ত্র একটি বিকাশমান প্রক্রিয়া উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে হলে সবাইকে আরও অনেক পথ ধরে সামনে এগিয়ে যেতে ‘বিএনপি এখন জনপ্রত্যাশা থেকে ছিটকে পড়ে মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ন্যায়বিচারের কথা বলছে। কিন্তু এসব কিছু তাদের শাসনামলে ভূলণ্ঠিত হয়েছিল। তারা সংবিধান থেকে গণতন্ত্র এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের মূলোৎপাটন করেছিল।’
বিএনপি অবিরাম অগণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে হঠানোর যে ঘোষণা দিয়েছে তা কি তাদের গণতন্ত্র?’ নেতিবাচকতা, মিথ্যাচার আর ষড়যন্ত্র ছাড়া গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সুরক্ষায় বিএনপি কী করেছে তাও জানতে চান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
এ রাজনীতিবিদ বলেন, ‘বিএনপির হাত দিয়ে সিপাহী জনতার বিপ্লবের নামে হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা ও সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করো হয়েছে। বিএনপি এখনও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, সাম্প্রদায়িক শক্তির আস্থাভাজন এবং মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ককে হত্যার সরাসরি বেনিফিশিয়ারি। মুক্তিযুদ্ধের অর্জন ও চেতনাকে পদে পদে ভূলণ্ঠিত করাই বিএনপির ইতিহাস ও রাজনৈতিক সাধনা, যা ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে শুরু হয়। পাকিস্তানি ভাবধারায় নিজস্ব রাজনৈতিক মানস গঠন করে তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়বে-এ কথা নির্ভেজাল প্রলাপ ছাড়া আর কিছু নয়। মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তিকে বিএনপি রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিল। তাদের মুখে স্বাধীনতার সুরক্ষার কথা মানায় না।’