হেফাজতের সহিংসতার পৃষ্ঠপোষক বিএনপি - কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:১৫ এএম, ২৯ মার্চ,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:২৭ এএম, ১৭ সেপ্টেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের সহিংসতায় বিএনপির পৃষ্ঠপোষকতা রয়েছে দাবি করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এই সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তিকে ও দেশের সকল জনগণকে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ ঢাকার জাতীয় মসজিদের ভেতর যে তান্ডবলীলা চালিয়েছে বিএনপি সেই অপশক্তির পৃষ্ঠপোষক। আসুন আমরা অপশক্তির সহিংস তৎপরতা রুখতে বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের সব শক্তি এক হই।
আজ রবিবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস’র আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতবিদ্বেষী যে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি ঢাকা, চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ জাতীয় মসজিদের যে তান্ডবলীলা চালিয়েছে, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে যাদের গাত্রদাহ হয় সেই বিএনপি এই অপশক্তির পৃষ্ঠপোষক। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রের অসাম্প্রদায়িক ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্রে ধর্মের লেবাস পরিয়ে, চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের রাষ্ট্রক্ষমতার অংশীদার করেছিল।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পরবর্তীতে খালেদা জিয়াও স্বাধীনতাবিরোধীদের গাড়িতে বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা তুলে দিয়েছিলো। বিএনপি যখন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনের কর্মসূচি ঘোষণা করে, তখন জাতির কাছে প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায়, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনের নৈতিক অধিকার বিএনপির আছে কিনা? ২৬ মার্চ পালন না করে করোনার ভুয়া অজুহাত দেখিয়ে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয়া আরেক রহস্যের জন্ম দিয়েছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ২৬ মার্চ বাঙালি জাতির আত্মপরিচয়ের স্মারক। স্বাধীনতার এত বছর পার হলেও পাকিস্তান ৭১-এর বর্বরোচিত নৃশংস হত্যার জন্য আজও দুঃখ প্রকাশ করেনি, ক্ষমা প্রার্থনা করেনি। স্বাধীন দেশ হিসেবে পাকিস্তানের কাছে আমাদের পাওনা আজও বুঝিয়ে দেয়নি। স্বাধীনতার এত বছর পরও তারা তাদের নাগরিকদের আমাদের ওপর বোঝা করে রেখেছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের ৫০ বছরে গৌরব যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে অবর্ণনীয় কষ্ট ও বেদনার নীল সাগর। সদ্য স্বাধীন দেশের সাড়ে তিন বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর বারবার আঘাত হানা হয়েছে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধের ওপরে। সকল বাধাকে উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের ৫০ বছরে বাংলাদেশ আজ স্বল্প উন্নয়নের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে। অগ্রযাত্রার এ পথে পাড়ি দিতে হয়েছে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে নির্ধারিত সূচকের গন্ডি। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সুদক্ষ নেতৃত্ব ছাড়া এ অর্জন চিন্তা করাই ছিলো অসম্ভব। শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্ব আছে বলেই অসম্ভবকে সম্ভব করা হয়েছে। আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, দিপু মনি, ডা. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এস এম কামাল হোসেন, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ মান্নান কচি, হুমায়ুন কবিরসহ অন্যরা।