কৃষকদলের সম্মেলন আগামীকাল শুক্রবার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:১৫ এএম, ১২ মার্চ,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০২:২৫ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
টানা ২২ বছর পর নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করতে আগামীকাল শুক্রবার জাতীয় সম্মেলন করবে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল। আজ গুলিস্তানের মহানগর নাট্যমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে সংগঠনটির চতুর্থ জাতীয় সম্মেলন। সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিলো ১৯৯৮ সালের ১৬ মে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিউশন মিলনায়তনে। বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে কৃষক দলের আহবায়ক শামসুজ্জামান দুদু জাতীয় সম্মেলনের বিস্তারিত কর্মসূচি তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ১২ মার্চ সকাল ১০টায় মহানগর নাট্যমঞ্চে এই চতুর্থ জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে গুলিস্তানের মহানগর নাট্যমঞ্চে। সংগঠনের কাউন্সিল অধিবেশন হবে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে। কাউন্সিলে স্কাইপে উপস্থিত থাকবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। কৃষক দলের জাতীয় সম্মেলনে মোট কাউন্সিলরের সংখ্যা ৫৪৮ জন। এর মধ্যে ৭৯ সাংগঠনিক জেলা কমিটির প্রতি জেলা থেকে ৫ জন করে মোট ৩৯৫ জন এবং কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটির ১৫৩ জন সদস্য কাউন্সিলর হিসেবে থাকবে।
জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের ৪র্থ জাতীয় সম্মেলনে প্রাককালে কৃষকের পক্ষে কিছু দাবিনামা তুলে ধরা হবে :
১। প্রতিটি মৌসুমে বাম্পার ফলনের পরও শুধু কৃষককে সর্বস্বান্ত কারার জন্য ভারত থেকে শুল্কমুক্ত চাল আমদানি বন্ধ করতে হবে।
২। সরকারিভাবে সরাসরি প্রকৃত কৃষকের নিকট হতে ন্যায্যমূল্যে ধান-চাল ক্রয় করতে হবে।
৩। ভারতে থেকে ভুট্টা আমদানি বন্ধ করতে হবে।
৪। শস্য পরিবহনের সময় পথে পথে দলীয় চাঁদাবাজি ও পুলিশি হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
৫। হাটে ইজারাদারদের দৌরাত্ম্য বন্ধ ও কৃষকের প্রতি সহিংসতা বন্ধ করতে হবে ।
৬। কৃষি ঋণ প্রকৃত কৃষকের মাঝে সরাসরি প্রদান করতে হবে। ব্যাংক ঋণের ক্ষেত্রে ঘুষ ও দালালি বন্ধ করতে হবে।
৭। বীজ, সার, কীটনাশকসহ সকল কৃষি উপকরণের মূল্য কমাতে হবে।
৮। কৃষিতে ভর্তুকি বাড়াতে হবে।
৯। ডিজেলের মূল্য কমাতে হবে।
১০। বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করা যাবে না।
১১। ভারতীয় সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক গুলি করে নিরীহ কৃষক হত্যা বন্ধে দ্রæত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
১২। করোনা চলাকালীন সময়ে প্রকৃত কৃষকদের সাহায্য সহযোগিতা করতে হবে। সর্বোপরি দেশের কৃষকের ওপর সকল নির্যাতন নিপীড়ন, শোষণ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
তা না হলে বাংলাদেশের নিপীড়িত-নির্যাতিত কৃষক সমাজকে সাথে নিয়ে দুর্বার কৃষক আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমানে অবৈধভাবে ক্ষমতাদখলকারী কৃষকের শক্র হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়ে দেশপ্রেমিক কৃষক বান্ধব সরকার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে কৃষকের ন্যায্য দাবি আদায় করবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দল।