আধিপত্যবাদ ও আগ্রাসন বিরোধী সংগ্রামে যাদু মিয়ার অবদান জাতি চিরদিন স্মরণ করবে - বিএনপি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০৪ এএম, ১২ মার্চ,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৬:৩৬ এএম, ২০ সেপ্টেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
আধিপত্যবাদ ও আগ্রাসন বিরোধী সংগ্রামে সাবেক মন্ত্রী ও জাতীয় নেতা মশিয়ূর রহমান যাদু মিয়ার অবদান জাতি চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মশিয়ূর রহমান যাদু মিয়ার ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ১২ মার্চ জাতীয়তাবাদী, প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মহান নেতা, জাতীয় নেতা মশিয়ূর রহমান যাদু মিয়ার ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর অমলিন স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। আধিপত্যবাদ ও আগ্রাসন বিরোধী সংগ্রামে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর দক্ষিণ হস্ত হিসেবে যাদু মিয়ার অবদান জাতি চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।
তিনি বলেন, ১৯৭৫-এর ৭ নভেম্বর পরবর্তী পরিস্থিতিতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আহবানে গণতন্ত্রকে জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার সংগ্রামে জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট ও পরবর্তীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি গঠনে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। ১৯৭৬ সালে পানি আগ্রাসন ও ফারাক্কা বাঁধের প্রতিবাদে মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চের সাংগঠনিক কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৭৭ সালে প্রগতিশীল, দেশপ্রেমিক ও জাতীয়তাবাদী শক্তির সমন্বয়ে প্রথমে জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট ও পরবর্তীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেন। মওলানা ভাসানীর মৃত্যুর পর ন্যাপ-এর চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেন তিনি। মশিয়ূর রহমান যাদু মিয়া শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিসভায় সিনিয়র মন্ত্রী হিসেবেও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি তাঁর অমলিন স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। আমি তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।