আ’লীগের কমিটিতে রাজাকারের সন্তানরা পেল পদ-পদবি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৩৭ এএম, ৪ মার্চ,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৮:৪২ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
বরগুনার পাথরঘাটায় আ’লীগের সম্মেলনের ৫ মাস পর ইউনিয়ন ও পৌরসভা পর্যায়ের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটিতে রাজাকার পরিবারের সন্তানরা পদ- পদবিতে প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় দলের মধ্যে ব্যাপকভাবে কোন্দল দেখা দিয়েছে। এই বিতর্কিত কমিটির প্রতিবাদে পাথরঘাটা উপজেলা প্রেসক্লাবে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের একাংশ সংবাদ সম্মেলন করেছে।
আজ বুধবার বেলা ১১টার সময় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাকিল আহমেদ শিবু।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান ও বীরাঙ্গনা লাইলী বেগমের ছেলে মিজানুর রহমান আবু, মুক্তিযোদ্ধা মন্মথ রঞ্জন মিস্ত্রি, পাথরঘাটা উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি রেজাউল করিম মিরাজসহ নেতাকর্মীরা।
শিবু জানান, পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগ-যুবলীগ কমিটিতে আছি ১৮ বছর ধরে। সব সময় আ’লীগের পক্ষে কাজ করেছি, এখন আ’লীগের স্থানীয় নেতারা মোটা অঙ্কের বিনিময়ে রাজাকার পরিবারে সন্তানদের আ’লীগ কমিটিতে বড় পদ পদবি দিয়ে তাদেরকে প্রতিষ্ঠিত করছে। পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নে রাজাকার পরিবারের আঃ রহিম ফকিরের ছেলে ইব্রাহীম মোক্তারকে সাধারণ সম্পাদকের পদ দিয়েছেন।
যুবলীগ নেতা রেজাউল করিম মিরাজ বলেন, ২৬ বছর ধরে আমরা যুবলীগ নিয়ে পরে আছি, আ’লীগে আমাদের স্থান হচ্ছে না। ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে পাথরঘাটা উপজেলার একটি পৌরসভাসহ ৭টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। যার কমিটি ঘোষনা করা হয় গত ২ মার্চ। ওই কমিটিতে সাধারণ সম্পাদকের তালিকায় ৫ জনের নাম প্রস্তাব করা হয়। যার মধ্যে দুজন আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সন্তান এবং তালিকাভুক্ত রাজাকারের সন্তানের নাম ছিল। কালো টাকার বিনিময়ে তালিকাভুক্ত রাজাকারের সন্তানকে ইউনিয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এতে করে আ’লীগের ত্যাগী নেতাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এই ক্ষোভ আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে প্রভাব পড়বে বলে জানান। তিনি এই কমিটির বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. জাবির হোসেন জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগ ইউনিয়ন পর্যায়ে যাকে নেতা বলে মনে করেছেন তাকেই আমরা পদমর্যাদায় রেখেছি। এই কমিটি গঠনে কোনো কালো টাকার প্রভাব পড়েনি। এখানে স্থানীয় দুই সংসদ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।