ভোটের পরিবেশে সন্তুষ্ট ইসি, খুনের দায় প্রার্থীদের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৩৭ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারী,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ১২:০৯ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
দেশে চতুর্থ ধাপে ৫৫টি পৌরসভার ভোট শেষে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে।
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের কাছে চতুর্থ ধাপের পৌর ভোট নিয়ে তিনি বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তারা নির্বাচন কমিশনকে প্রতি ঘণ্টায় যে প্রতিবেদন দিয়েছেন এবং গণমাধ্যমে যা দেখেছে কমিশন, তাতে আমাদের কাছে মনে হয়েছে, ভোট ভালো হয়েছে।
চট্টগ্রামের পটিয়ায় দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে গোলাগুলিতে একজন নিহত হয়। এ বিষয়ে হুমায়ুন কবীর বলেন, ঠিকই বলেছেন। পটিয়াতে ভোটকেন্দ্রের বাইরে প্রার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে একজন মারা গেছেন। এটা নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য দুঃখজনক। এটি ঘটুক আমরা কেউ প্রত্যাশা করি না। প্রার্থীদের মধ্যে যে মারামারি হয়েছে সেটা ভোটকেন্দ্রের বাইরে হয়েছে। এটি কেন্দ্রের ভেতরে ভোটগ্রহণে কোনো ধরনের প্রভাব ফেলেনি। ভোটগ্রহণ হয়েছে শান্তিপূর্ণভাবে।
সংঘর্ষে একজন নিহত হওয়ার পর ভোটের পরিবেশ থাকে কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘এটি হলো প্রার্থীদের মধ্যে বিচ্ছিন্ন ঘটনা। হঠাৎ করে হয়ে গেছে, একজন মারা গেছেন। যাঁরা ভোট দেয়ার তারা ভোটকেন্দ্রে যাবেন, যে জায়গায় মারামারি হয়েছে, সেখানে যাবেন না।’
হুমায়ুন কবীর বলেন, যে দুই প্রার্থী মারামারি করেছেন, খুনের দায় তাদের। কারণ, তারা নিজেরা মারামারি করেছেন, খুন হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সবাই জানিয়েছেন, সেখানে ভোট দেয়ার মতো পরিবেশ ছিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দায়িত্ব পালন করেছে।
তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ছিলেন। তারা বাইরে গিয়ে ঝগড়া করেছেন, সেখানে একজন নিহত হয়েছেন। সেখানে আসলে ওই মুহূর্তে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপ করার সুযোগ ছিল না।
ইসি সচিব বলেন, এটি হলো একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। হঠাৎ করে হয়ে গেছে, একজন লোক মারা গেছে। কিন্তু যারা ভোট দেয়ার, তারা তো ভোটকেন্দ্রে যাবে। যে জায়গায় মারামারি হয়েছে, সেই জায়গায় ভোটাররা তো যাবে না।
তিনি বলেন, নরসিংদীর চারটি ভোটকেন্দ্রে কিছু অনিয়মের কারণে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সেখানে ভোট বন্ধ করে দেন। নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে একটি কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করে দেয়া হয়। শরীয়তপুরের ডামুঢ্যায় দুটি কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করা হয়। অর্থাৎ সাতটি কেন্দ্রের ভোট বন্ধ হয়। বাকি ৫০৩টি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে।