নির্বাচন চ্যালেঞ্জিং হবে, নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রস্তুুতি নিতে হবে : দুদু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০৫ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪ | আপডেট: ০৯:৪৬ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গত ১৬-১৭ বছর আন্দোলনের জন্য যেভাবে বিএনপি গঠন করেছে তার কর্মীদেরকে গঠন করেছে। ঠিক তেমনি আগামীতে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে বিএনপিকে এবং তার কর্মীদেরকে নতুন আঙ্গিকে, সুশৃঙ্খলভাবে আরো মজবুত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, আমরা যে লড়াইটা শুরু করেছি- সেই লড়াইটা হচ্ছে মানবতার লড়াই, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াই। সেই লড়াইটা হচ্ছে ফ্যাসিবাদকে এ দেশ থেকে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করার লড়াই। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনটা আমরা যত হালকা ভাবে নিব; তত হালকা নাও হতে পারে। আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন- আগামী নির্বাচনটা আমাদের জন্য কঠিন হতে পারে। নানান ধরণের ষড়যন্ত্র হবে। চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। সেইভাবে আমাদেরকে প্রস্তুতি নিতে হবে। এজন্য দলের সকল স্থরের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রস্তুুত থাকতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রংপুর মহানগরী মেডিকেল পূর্ব-গেটএলাকার শিমুলবাগ কমিউনিটি সেন্টারে রংপুর বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সভায় বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় বক্তব্য রাখেন, বিএনপি আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সংগীত শিল্পী বেবি নাজনীন, পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন আজাদ, গ্রাম সরকার বিষয়ক সম্পাতক আসাদুজ্জামান বাবু, বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক ও আমিনুল ইসলাম, রংপুর মহানগর আহবায়ক সামসুজ্জামান সামু, জেলা আহবায়ক সাইফুল ইসলাম, মহানগর সদস্য সচিব মাহফুজ উন নবী ডন, জেলা সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকু প্রমুখ।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা যে গণহত্যা করেছে। এই দেশকে ধ্বংস করেছেন। তাকে আমরা ফেরত আনতে চাই- বিচারের মুখোমুখি করে।এই ধরনের দৃষ্টান্ত তৈরি করতে চাই, যাতে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার মতো দানব ফ্যাসিবাদ আর এই দেশে প্রতিষ্ঠিত না হয়। এটাই আমাদের লক্ষ্য।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, অনেক ত্যাগ, রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। কারণ একটাই, এই দেশে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য। কিন্তু বাংলাদেশের প্রথম পর্যায়ে দেশে গণতন্ত্র ধ্বংস করা হয়েছিল। দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করে এদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল। রক্ষী বাহিনী গঠন করে বিরোধী দলের চল্লিশ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, বাকশাল কায়েম করে গণতন্ত্রকে কবরস্থ করা হয়েছিল। যিনি করেছিলেন, তার নাম শেখ মুজিবুর রহমান। তারই কন্যা শেখ হাসিনা গত ১৬ থেকে ১৭ বছরে বাংলাদেশকে ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে গেছে। উন্নয়নের নামে সবকিছু ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে গেছে। ব্যাংক-বীমা সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংসের পর্যায়ে নিয়ে গেছে। এই জায়গা থেকে দেশকে উঠিয়ে আনার দায়িত্ব এখন বিএনপির। শেখ মুজিবুর রহমান দেশকে যেমন ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে গিয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, তারপরে স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সেই দেশকে খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে এসেছিলেন। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সকল সংবাদপত্র প্রকাশনার ব্যবস্থা করেছিলেন। ঠিক তেমনি এই ধ্বংসপ্রাপ্ত দেশকে আবার নির্মাণের জন্য বিএনপিকে হয়তো দায়িত্ব নিতে হবে। অতীতে যেমন গণতান্ত্রিক পন্থায় নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি ক্ষমতায় এসেছিল। ঠিক একইভাবে গণতান্ত্রিক পন্থায় ও নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে।
তিনি বলেন, আমরা যে লড়াইটা শুরু করেছি। সেই লড়াইটা হচ্ছে মানবতার লড়াই। যে লড়াইটা হচ্ছে গণতন্ত্র পুনঃ প্রতিষ্ঠার লড়াই। এই লড়াইটা হচ্ছে ফ্যাসিবাদকে এই দেশ থেকে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করা। আমাদের পাশের দেশ গণতন্ত্রের ধারায় ফিরে আসবে। ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের ধারাবাহিকতায় ২৪ এর যে গণঅভ্যুত্থান যে বিপ্লব। সেখানে যারা শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বিএনপি তাদের সহযোগিতা ও সাহায্য অব্যাহত রেখেছে। তাদের পাশে সব সময় থাকবে বিএনপি।