গণতন্ত্র হত্যা করায় আওয়ামী লীগের এমন পরিণতি : মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৩৭ এএম, ১৪ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪ | আপডেট: ০৮:০৬ এএম, ১৮ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। গণহত্যা করেছে। জাতির ইতিহাসকে বিকৃত করেছে। তারা জনগণ থেকে দূরে সরে গেছে। তাই আজ তারা এখানে উপস্থিত হতে পারেনি। আজ তাদের এই পরিণতি।’
আজ শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থান বেদিতে ফুল দিয়ে বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশের জন্য যে স্বপ্ন দেখেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীরা, সেটা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিএনপি তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাবে।’
খুব দ্রুত জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী নির্বাচন হবে জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা সব সময় আশাবাদী। ইতোমধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, আমরা সহযোগিতা করছি। আমরা আশা করি খুব দ্রুত জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা হবে। একটি অবাদ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করার সুযোগ পাবেন।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকের শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। এই দিনে ১৯৭১ সালে বিজয়ের পূর্ব মুহূর্তে পাক-হানাদার বাহিনীর বাংলাদেশের প্রথিতযশা সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, অধ্যাপক, বৈজ্ঞানিক এবং সুশীল সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে। ১৯৭১ সালে আমরা জাতির বর্ণ ব্যক্তিদের হারিয়েছি। আমরা জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আজ আমরা সবাই মিলে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছি। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মাগফিরাত কামনা করছি।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আজকের এই দিনে আমরা শপথ গ্রহণ করেছি, বাংলাদেশের মানুষ ১৯৭১ সালে যে কারণে যুদ্ধ করেছিল একটা স্বাধীন, গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য। এটি হয়েছিল শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধ ঘোষণার মধ্য দিয়ে।’
তিনি বলেন, ‘৩৬ জুলাই বা ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শক্তিকে পরাজিত করে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এই সুযোগে সম্পূর্ণ সদ্ব্যবহার করে আমরা বাংলাদেশকে একটি সত্যিকার অর্থেই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, আধুনিক রাষ্ট্র, একটি বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’
এ সময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ড. মঈন খান, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায় আব্দুস সালামসহ দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।