মাঠ ছাড়িয়ে সায়দাবাদ থেকে খিলগাঁও পর্যন্ত লোকে লোকারণ্য
গোলাপবাগ মাঠ ছাপিয়ে সড়কে বিএনপির সমাবেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:০১ এএম, ১০ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:১৬ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে গতকাল থেকেই কানায় কানায় পরিপূর্ণ গোলাপবাগ মাঠ। অনেকে এখানে রাতের বেলায়-ই আশ্রয় নিয়েছেন। ভোর বেলা অনেকেই আসছেন সমাবেশস্থলে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ শনিবার ভোরে গোলাপবাগ মাঠ ছাপিয়ে আশেপাশের সড়কগুলোতেও বিএনপি নেতাকর্মীদের উপস্থিতি বেড়েছে। ভোর সাড়ে ৬টায় এই চিত্র দেখা গেছে।
সরজমিন দেখা যায়, রাজধানী গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশে গতকাল রাতেই উপস্থিত হওয়া অনেক নেতাকর্মী ঘুমিয়ে ছিলেন। তারা সমাবেশের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ঢাকা ও বিভিন্ন জেলা থেকে এসেছেন এসব নেতাকর্মীরা। কিছুক্ষণ পরপরই মাঠে নেতাকর্মীদের মিছিল আসছে। অনেকে মাঠের মধ্যে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। মাঠের পশ্চিম পাশে অতিথিদের জন্য স্টেজ বানানো হয়েছে৷ মাঠে বড় গ্যাসবেলুনে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিভিন্ন পোস্টার ও স্লোগান লিখে তা উড়ানো হয়েছে।
ব্যানারে ছেয়ে গেছে পুরো গোলাপবাগ মাঠ। মাঠের বাহিরের আশেপাশের সড়কেও নেতাকর্মীরা জড়ো হচ্ছেন। আশেপাশের মতিঝিল, খিলগাঁও, বাসাবো, মুগদা, কমলাপুর স্টেশনের সামনে এলাকার ৩ থেকে ৪ কিলোমিটার লোকে লোকারণ্য ও খন্ড খন্ড মিছিল। কোনো গণপরিবহন না থাকায় হেটে হেটে আসছেন নেতাকর্মিরা
শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় ঢাকার পাশের জেলা থেকে সমাবেশে এসেছেন আলমগীর সরকার। তিনি বলেন, আসার পথে পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে এসেছি। যেকোনো মূল্যে সমাবেশ সফল করতে চাই আমরা।
রাত সাড়ে ৯টায় উত্তর খান থেকে এসেছেন মহিউদ্দিন। রাতে মাঠেই ঘুমিয়ে ছিলেন। তিনি বলেন, গাড়ি বন্ধ এজন্য রাতে রাতেই চলে এসেছি। এমনিতেই বাড়িতে থাকতে পারি না পুলিশের জন্য। তাই রাতেই চলে এসেছি।
গতকাল রাত ৮টায় গুলশান থেকে সমাবেশের উদ্দেশ্যে গোলাপবাগ এসেছেন রাজন। রাতে মাঠেই নির্ঘুম অবস্থান করেছেন। তিনি বলেন, পুলিশ চেক দিচ্ছে। আজ আরও কড়াকড়ি হবে তাই কাল রাতেই চলে এসেছি। জিয়ার সৈনিকদের ঘুমাতে হয় না। সারারাত মিছিল দিয়েছি।
শুধু ঢাকা নয় সমাবেশ সফল করার উদ্দেশ্যে রাজশাহী থেকে এসেছেন ৭-৮ জন কর্মী। তারা রাস্তায় পাটি বিছিয়ে একসঙ্গে বসে আছেন। তারা রাজশাহী জেলার মতিহার থানার বাসিন্দা। ভোর ৬টার ট্রেনে এসেছেন। মহানগরের সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক একরাম আলী বলেন, ভোর বেলায় সমাবেশে চলে এসেছি। স্বৈরাচার সরকারকে মুক্ত করার জন্য এসেছি। এদেশের গণতন্ত্র ফেরানোর জন্য এসেছি।