আওয়ামী লীগের শরিকদের মধ্যে ক্ষোভ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৩০ পিএম, ৯ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:২৬ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
জোটগতভাবে নির্বাচনের ঘোষণা দেয়ার পরও আওয়ামী লীগ এককভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করায় ক্ষোভ ঝেড়েছেন ১৪ দলের কয়েকজন নেতা।
গতকাল বৃহস্পতিবার ৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমুর বাসভবনে জোটের বৈঠকে শরিক দলের নেতারা এই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। জোটের একাধিক নেতা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে জোট নেতারা বলেন, শুধু নির্বাচন এলে শরিকদের ডাকা হয়, অন্য সময় কোনো মূল্যায়ন করা হয় না। খেলা হবে স্লোগান নিয়েও আপত্তি তুলেছেন একাধিক নেতা। সভায় উপস্থিত একাধিক নেতা জানান, বৈঠকে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া সরকার ও আওয়ামী লীগের নানা কর্মকান্ডের সমালোচনা করেন। তারা বিদেশে টাকা পাচার ও দুর্নীতি বন্ধের দাবিও করেন। জেপি সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। অর্থনীতির যা অবস্থা যেকোনো সময় শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিতে পারে। সাম্প্রতিক সময়ে আওয়ামী লীগের জনসভাগুলোর দিকে ইঙ্গিত করে জোটের একাধিক নেতা অভিযোগ করেন, ১৪ দলের সঙ্গে আগামী নির্বাচন নিয়ে আলোচনা ছাড়াই আওয়ামী লীগ তাদের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছে। সভায় আগামী নির্বাচনে শরিকদের মধ্যে আসন বন্টন কী হবে সে বিষয়েও আলোচনা করার দাবি জানান রাশেদ খান মেনন ও হাসানুল হক ইনু। এ দুই নেতা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের ‘খেলা হবে’ স্লোগানের বিরোধিতা করে বলেন, এই স্লোগানের জন্য আমাদের বিব্রত হতে হচ্ছে। এই স্লোগানের মধ্যে দিয়ে রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও সহিংস হয়ে উঠতে পারে।
সভায় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেন, আওয়ামী লীগ ঠিক পথেই এগুচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী প্রচারে নৌকায় ভোট চেয়ে যথার্থই করেছেন। পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা দেশ অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনার অংশ। ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজপথে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও কোনো ধরনের নাশকতা মেনে নেয়া হবে না। তাদের মোকাবিলা করবে ১৪ দল। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, সারা দেশে ১৪ দল সরব হবে। আগামী ১৪ ও ১৬ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয়ভাবে আলোচনা সভাও করবে। এরপর বিএনপি-জামায়াতের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে পেশাজীবীদের সঙ্গে বৈঠক করবে। আগামী জানুয়ারি থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে জনসভা আয়োজন হবে। সভায় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, জেপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম, ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ খান প্রমুখ।