রাষ্ট্রপতির সাক্ষাতের অপেক্ষায় ৪২ নাগরিক, দ্বিতীয় চিঠিতে আরও তথ্য-প্রমাণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৪১ এএম, ১ ফেব্রুয়ারী,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:০৭ এএম, ২৫ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আরও কিছু গুরুতর অভিযোগ এনে ফের প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদকে চিঠি দিয়েছেন দেশের ৪২ বিশিষ্ট নাগরিক। একইসঙ্গে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের দাবি জানিয়েছেন তারা। এছাড়া প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতের সময়ের সুযোগ দানের জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তারা।
আজ রবিবার এ তথ্য জানিয়েছেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার।
ইসির সাবেক আইনজীবী শাহদীন মালিক স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর ৪২ জন নাগরিকের পক্ষ থেকে মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বে গঠিত বর্তমান নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে উত্থাপিত আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থসংশ্লিষ্ট গুরুতর অসদাচরণ এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অনিয়ম ও অন্যান্য গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগের তদন্ত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের অধীনে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করার আবেদন জানিয়ে একটি চিঠি দেয়া হয়।
চিঠিতে তারা বলেন, পরবর্তীতে ১৭ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করার লক্ষ্যে উপরোক্ত আবেদনের সংযুক্তি হিসেবে আরেকটি চিঠি প্রেরণ করা হয়। চিঠির সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের প্রশিক্ষণের জন্য বরাদ্দ করা অর্থ সম্পর্কিত অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে বৈশাখী টেলিভিশনের সাত পর্বের একটি ধারাবাহিক প্রতিবেদনের কপি সংযোজন করা হয়। একই বিষয়ে মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের (সিএজি) দফতর কর্তৃক উত্থাপিত অডিট আপত্তি নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত কয়েকটি প্রতিবেদনের কপিও সংযোজন করা হয়।
তারা বলেন, ২০১৮-১৯ সালে অল্প কিছু কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ বাজেটে অন্তত ১১ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এর অন্তত সাড়ে তিন কোটি টাকা নিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনারগণ, নির্বাচন কমিশনের সচিব, প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের প্রধানসহ ১৮ কর্মকর্তা।
প্রেসিডেন্টের উদ্দেশে তারা বলেন, আমাদের অভিযোগের বিষয়ে সামনা সামনিভাবে অবগত করার জন্য আপনার সুবিধামতো সময়ে সাক্ষাতের অনুরোধের বিষয়ে আমরা আপনার সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।