পৌরসভা নির্বাচন, তৃতীয় ধাপের ৬২টির মধ্যে মাত্র তিনটিতে বিএনপির জয়
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৮:৩৬ পিএম, ৩১ জানুয়ারী,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০৬:৪২ পিএম, ১৮ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
তৃতীয় ধাপের দেশে ৬২টি পৌরসভা নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফলে আওয়ামী লীগ–মনোনীত অধিকাংশ মেয়র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। তাঁরা জয় পেয়েছেন ৪৭টি পৌরসভায়। ফলাফলের দিক থেকে এরপরই আওয়ামী ‘বিদ্রোহী’ মেয়র প্রার্থীদের অবস্থান। ১১টি পৌরসভায় তাঁরা নির্বাচিত হয়েছেন। বিএনপির মেয়র প্রার্থীরা মাত্র তিনটি পৌরসভায় জয় পেয়েছেন। একটি পৌরসভায় স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
গতকাল শনিবার সকাল আটটা থকে বিকেল চারটা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হয়। বেশির ভাগ পৌরসভার ভোটকেন্দ্রগুলোয় ছিল ভোটারদের লম্বা সারি। সব বয়সের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে এসেছিলেন।
দর্শনায় জিতলেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মতিয়ার রহমান নৌকা প্রতীকে ১৭ হাজার ৭৩৬ ভোট পেয়ে মেয়র পদে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী হাবিবুর রহমান পেয়েছেন ১ হাজার ১৯৪ ভোট।
হাজীগঞ্জ পৌরসভায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী জয়ী
হাজীগঞ্জ পৌরসভায় দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত আওয়ামী লীগ–মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান মেয়র আ স ম মাহবুব-উল আল। তিনি ২৩ হাজার ২১২ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী আবদুল মান্নান খান পেয়েছেন ১১ হাজার ৬৪৫ ভোট।
গাবতলীতে জয় পেয়েছেন বিএনপির প্রার্থী
বগুড়ার গাবতলী পৌরসভায় ধানের শীষের প্রার্থী সাইফুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৫ হাজার ৩২১। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র হেলাল উদ্দিন কবিরাজ নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৪ হাজার ২৯০ ভোট।
শিবগঞ্জে জিতলেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী
শিবগঞ্জ পৌরসভায় বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র তৌহিদুর রহমান। তিনি পেয়েছেন ১২ হাজার ৩৯৮। এখানে বিএনপির প্রার্থী মতিয়ার রহমান শোচনীয়ভাবে হেরেছেন। ধানের শীষ প্রতীকে তাঁর প্রাপ্ত ভোট ২ হাজার ৩৬৬।
ধুনট পৌরসভায় জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী
ধুনট পৌরসভায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ জি এম বাদশাহ টানা দ্বিতীয়বার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৩ হাজার ৯০৬ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি টি আই এম নুরুন্নবী তারিক পেয়েছেন ৩ হাজার ১৫৫ ভোট।
নন্দীগ্রামে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর জয়
নন্দীগ্রাম পৌরসভায় মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনিছুর রহমান। তিনি পেয়েছেন ৭ হাজার ৬৮৩ ভোট। এখানে বিএনপির প্রার্থী সুশান্ত কুমার সরকার ধানের শীষ প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৫ হাজার ১৮৩।
কাহালু পৌরসভায় বিএনপির প্রার্থীর জয়
কাহালু পৌরসভায় মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপির প্রার্থী আবদুল মান্নান। তিনি ৫ হাজার ৩২১ ভোট পেয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র হেলাল উদ্দিন কবিরাজ পেয়েছেন ৪ হাজার ২৯০ ভোট।
ভেদরগঞ্জ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর জয়
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী আবুল বাশার বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৮৬ ভোট। আর আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান মেয়র আবদুল মান্নান হাওলাদার পেয়েছেন ২ হাজার ৩৩৮ ভোট।
নড়িয়ায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও জাজিরায় ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর জয়
নড়িয়া পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১২ হাজার ৮৭৫ ভোট।
জাজিরায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. ইদ্রিস মিয়া ৬ হাজার ৬০৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল হক কবিরাজ পেয়েছেন ৫ হাজার ৭৭৪ ভোট।
সিংড়া পৌরসভায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস বিজয়ী
নাটোরের সিংড়া পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. জান্নাতুল ফেরদৌস বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১৯ হাজার ৪২১ ভোট। তাঁর নিকটতম বিএনপি প্রতিদ্বন্দ্বী মো. তায়জুল ইসলাম পেয়েছেন ১ হাজার ৩১২ ভোট।
উলিপুরে নৌকার প্রার্থী বিজয়ী
কুড়িগ্রামের উলিপুর আওয়ামী লীগের প্রার্থী মামুন সরকার ১৫ হাজার ৫৬৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী মো. হায়দার আলী পেয়েছেন ৭ হাজার ৫২৭ ভোট।
হাকিমপুরে জিতলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী
দিনাজপুরের হাকিমপুর পৌরসভা নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগের প্রার্থী জামিল হোসেন নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১০ হাজার ৯৯২ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষ প্রতীকে সাখাওয়াত হোসেন পেয়েছেন ৪ হাজার ৯৩৭ ভোট।
কটিয়াদী পৌরসভায় নৌকার প্রার্থীর জয়
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শওকত উসমান বিজয়ী হয়েছে। তিনি পেয়েছেন ১৩ হাজার ৩৪৬ ভোট। এখানে বিএনপি প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন খান পেয়েছেন ৫ হাজার ৩৯৫ ভোট।
কিশোরগঞ্জে নৌকার প্রার্থী জয় পেলেন
কিশোরগঞ্জ পৌরসভায় স্থগিত কেন্দ্রে গতকাল ভোট গ্রহণ শেষে দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী পারভেজ মিয়া। তিনি পেয়েছেন ২১ হাজার ৮২৪। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী মো. ইসরাইল মিঞা পেয়েছেন ২০ হাজার ৯৫৪ ভোট।
স্বরূপকাঠি পৌরসভায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর জয়
পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি পৌরসভার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. গোলাম কবির বিজয়ী হয়েছেন।
দুর্গাপুরে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জয়ী
নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আলাল উদ্দিন ১১ হাজার ১২৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষের প্রার্থী জামাল উদ্দিন ১ হাজার ৯১৫ ভোট পেয়েছেন।
বরগুনায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিজয়ী
বরগুনা পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ–মনোনীত মেয়র প্রার্থী কামরুল আহসান মহারাজ বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ৯ হাজার ২৯৭ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী শাহাদাত হোসেন পেয়েছেন ৬ হাজার ৯০৩ ভোট।
পাথরঘাটায় নৌকার প্রার্থীর জয়
বরগুনার পাথরঘাটা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন আকন। তিনি পেয়েছেন ৬ হাজার ৬৭ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী (জামায়াত সমর্থিত) মো. মাহবুবুর রহমান খান ২ হাজার ২৩২ ভোট পেয়েছেন।
নড়াইল ও কালিয়া পৌরসভায় নৌকার প্রার্থী বিজয়ী
নড়াইল পৌরসভায় মেয়র পদে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আঞ্জুমান আরা। তিনি ১৯ হাজার ৩২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগ–মনোনীত মেয়র প্রার্থী। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী মো. জুলফিকার আলী পেয়েছেন ৪ হাজার ৩৫৭ ভোট।
কালিয়া পৌরসভায় মেয়র পদে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. ওয়াহিদুজ্জামান। তিনি পেয়েছেন ১২ হাজার ২৪২ ভোট। এখানে বিএনপির প্রার্থী এস এম ওয়াহিদুজ্জামান পেয়েছেন মাত্র ৬২৫ ভোট।
গোবিন্দগঞ্জে আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী বিজয়ী
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী মো. মুকিতুর রহমান ১১ হাজার ১৪৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী মো. ফারুক আহম্মেদ পেয়েছেন ৫ হাজার ৪৯৪ ভোট।
ঈশ্বরগঞ্জ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী বিজয়ী
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুস ছাত্তার জয় পেয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৯ হাজার ৩৭ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. হাবিবুর রহমান পেয়েছেন ৭ হাজার ৯৬০ ভোট।
গৌরীপুরে আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর জয়
গৌরীপুর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী সৈয়দ রফিকুল ইসলাম জয় পেয়েছেন।
ভালুকা পৌরসভায় নৌকার প্রার্থী বিজয়ী
ভালুকা পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মেজবাহ উদ্দিন কাইয়ুম জয় পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিএনপির প্রার্থী হাতেম খান।
নওগাঁয় বিএনপি প্রার্থীর জয়
নওগাঁ পৌরসভায় বিএনপির প্রার্থী নাজমুল হক ২৯ হাজার ২৬৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী নির্মল কৃষ্ণ সাহা নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ২৪ হাজার ৯৪৪ ভোট।
ধামইরহাট পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীর জয়
নওগাঁর ধামইরহাট পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আমিনুর রহমান পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ৭ হাজার ৯৮২ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী মাহবুবুর রহমান চৌধুরী ৩ হাজার ৪৯ ভোট পেয়েছেন।
মৌলভীবাজারে জিতেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী
মৌলভীবাজার পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. ফজলুর রহমান জয়লাভ করেছেন। তিনি পেয়েছেন ১৩ হাজার ৭০০ ভোট। বিএনপি প্রার্থী মো. অলিউর রহমান পেয়েছেন ৩ হাজার ৭৩২ ভোট। তবে বিএনপি প্রার্থী অলিউর রহমান নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকার অভিযোগে গত শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বর্জন করেন।
পাংশা পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীর জয়ী
রাজবাড়ীর পাংশা পৌরসভা নির্বাচন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. ওয়াজেদ আলী বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১১ হাজার ১৬১ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী ফজলুল হক ৪ হাজার ২৪৩ ভোট পেয়েছেন।
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে ‘বিদ্রোহী’ ও হরিণাকুণ্ডুতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিজয়ী
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌরসভায় মেয়র পদে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী মো. সহিদুজ্জামান সেলিম। তিনি পেয়েছেন ৮ হাজার ৩৪২ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী সালাহউদ্দীন বুলবুল পেয়েছেন ৭ হাজার ১১৯ ভোট।
অন্যদিকে, হরিণাকুণ্ডু পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগে প্রার্থী ফারুক হোসেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী সাইফুল ইসলাম ওরফে টিপু মল্লিক।
মুন্সিগঞ্জ পৌরসভায় জিতলেন নৌকার প্রার্থী
মুন্সিগঞ্জ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মো. ফয়সাল বিপ্লব দ্বিতীয়বারের মতো জয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ২৭ হাজার ২৭৬ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী শহিদুল ইসলাম পেয়েছেন ২ হাজার ৬০৪ ভোট।
কলারোয়া পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিজয়ী
সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ–মনোনীত প্রার্থী মো. মনিরুজ্জামান বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ১৩ হাজার ৪৬৯ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী নার্গিস সুলতানা ১ হাজার ৬২৮ ভোট পেয়েছেন।
রহনপুরে আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর জয়
চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুরে আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী মতিউর রহমান খান মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৭ হাজার ৬২৭ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী ৭ হাজার ৬২ ভোট পেয়েছেন।
গোলাপগঞ্জে আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর জয়
সিলেটের গোলাপগঞ্জের পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী মো. আমিনুল ইসলাম জয় পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আওয়ামী লীগের অপর ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী জাকারিয়া আহমদ।
জকিগঞ্জে জিতেছেন আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী
সিলেটের জকিগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে দুই ভোটে হারিয়ে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী আবদুল আহাদ।
সরিষাবাড়ীতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিজয়ী
জামালপুরের সরিষাবাড়ী পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনির উদ্দিন জয় পেয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ২৭ হাজার ৪৯৯ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের মেয়র প্রার্থী এ কে এম ফয়জুল কবির ৩ হাজার ৪৭১ ভোট।
কেশরহাটে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও মুণ্ডুমালায় ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর জয়
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ–মনোনীত মেয়র প্রার্থী শহিদুজ্জামান শহিদ। ১০ হাজার ৯১৪ ভোট পেয়ে তিনি বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি–মনোনীত প্রার্থী প্রভাষক খুশবর রহমান পেয়েছেন ১ হাজার ৩২৫ ভোট।
তানোর উপজেলার মুণ্ডুমালার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী সাইদুর রহমান। তিনি ৫ হাজার ৪৫৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী আমির হোসেন ওরফে আমিন পেয়েছেন ৫ হাজার ৩৯৮ ভোট।
টাঙ্গাইল, মধুপুর, ভূঞাপুর, সখীপুর ও মির্জাপুরে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিজয়ী
টাঙ্গাইল পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী এস এম সিরাজুল হক ওরফে আলমগীর ৫৯ হাজার ৯৬৭ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী মাহমুদুল হক ওরফে সানু পেয়েছেন ১৯ হাজার ৬৬০ ভোট।
মধুপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সিদ্দিক হোসেন খান ২৬ হাজার ৮৯ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী আবদুল লতিফ পান্না পেয়েছেন ১ হাজার ৬৫১ ভোট। তবে বিএনপি প্রার্থী দুপুরে ভোট বর্জন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।
ভূঞাপুর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মাসুদুল হক ৯ হাজার ৪৯৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন পেয়েছেন ৪ হাজার ৫০৫ ভোট।
টানা তৃতীয়বারের মতো সখীপুর পৌরসভার মেয়র নির্বাচনে জয় লাভ করলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হানিফ আজাদ। ৭ হাজার ৮৩৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সানোয়ার হোসেন ৭ হাজার ৫৩৮ ভোট পেয়েছেন।
মির্জাপুর পৌরসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন জেলার একমাত্র নারী মেয়র প্রার্থী আওয়ামী লীগ মনোনীত সালমা আক্তার। তিনি পেয়েছেন ১২ হাজার ৪৭৮ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী শফিকুল ইসলাম পেয়েছেন ২ হাজার ৯২৪ ভোট।
নকলা ও নালিতাবাড়ীতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জয়ী
শেরপুরের নকলা পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ–মনোনীত প্রার্থী বর্তমান মেয়র মো. হাফিজুর রহমান জয় পেয়েছেন। পেয়েছেন ১২ হাজার ৬০ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান পেয়েছেন ৪ হাজার ৯৫০ ভোট।
নালিতাবাড়ী পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে মো. আবু বক্কর সিদ্দিক পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১২ হাজার ৯৫৮ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী মো. আনোয়ার হোসেন পেয়েছেন ২ হাজার ৪২৩ ভোট।
জলঢাকায় আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী জয়ী
নীলফামারীর জলঢাকায় আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী ইলিয়াস হোসেন ১৪ হাজার ৭৯৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী ফাহমিদ ফয়সাল চৌধুরী পেয়েছেন ১০ হাজার ৬৩৮ ভোট।
চৌমুহনীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও হাতিয়ায় নৌকা বিজয়ী
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনী পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. খালেদ সাইফুল্যাহ ১৩ হাজার ৪১৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে আক্তার হোসেন ফয়সল পেয়েছেন ১০ হাজার ৯৩৬ ভোট।
হাতিয়া পৌরসভার নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন নৌকার প্রার্থী কে এম ওবায়েদ উল্যাহ ওরফে বিপ্লব। তিনি পেয়েছেন ১৬ হাজার ৯৯৮ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির কাজী আবদুর রহিম পেয়েছেন ২ হাজার ৮৫৫ ভোট।
ফেনীতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর জয়
বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফলে ফেনী পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী নজরুল ইসলাম ৬৯ হাজার ৩০৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থী আলাল উদ্দিন পেয়েছেন ১ হাজার ৯৪৯ ভোট।
নলছিটিতে জিতলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী
ঝালকাঠির নলছিটি পৌরসভায় ১৪ হাজার ৫৬৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওয়াহেদ খান।
রামগঞ্জে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জয়ী
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল খায়ের পাটোয়ারী ১৬ হাজার ৫২৭ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তোজাম্মেল হোসেন পেয়েছেন ২ হাজার ১৮৬ ভোট।
পাবনায় আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর জয়
পাবনা পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আলী মুর্তজা বিশ্বাসকে ১২২ ভোটে পরাজিত করে আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী শরিফ উদ্দিন প্রধান বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আলী মুর্তজা বিশ্বাস পেয়েছেন ২৭ হাজার ৮৪৭ ভোট। এখানে বিএনপি–মনোনীত প্রার্থী নুর মোহাম্মদ মাসুম পেয়েছেন ৭ হাজার ৫৬০ ভোট।
বরুড়া ও চৌদ্দগ্রামে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর জয়
কুমিল্লার বরুড়া পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. বক্তার হোসেন ১৬ হাজার ২২৮ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী মো. জসিম উদ্দিন পাটোয়ারী পেয়েছেন ৩ হাজার ৭৫৩ ভোট।
চৌদ্দগ্রামে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী জি এম মীর হোসেন পেয়েছেন ১৫ হাজার ৯২৮ ভোট। বিএনপির মেয়র প্রার্থী হারুন অর রশিদ মজুমদার পেয়েছেন ১ হাজার ৮৮০ ভোট।
মনিরামপুরে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জয়ী
যশোরের মনিরামপুর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী কাজী মাহমুদুল হাসান জয় পেয়েছেন।
বোরহানউদ্দিন ও দৌলতখানে জিতেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা
ভোলার বোরহানউদ্দিন ও দৌলতখান পৌরসভায় নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। বোরহানউদ্দিনে মেয়র পদে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ–মনোনীত প্রার্থী মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি পেয়েছেন ৭ হাজার ১০৪ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী মনিরুজ্জামান কবির পেয়েছেন ৬৬২ ভোট।
দৌলতখানে ৫ হাজার ৮৪০ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাকির হোসেন তালুকদার। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী আনোয়ার হোসেন পেয়েছেন ৮৩০ ভোট।
টুঙ্গিপাড়া, মোরেলগঞ্জ ও লাকসামে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত
টুঙ্গিপাড়া পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ তোজাম্মেল হক, বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে মনিরুল হক তালুকদার ও কুমিল্লার লাকসামে আবুল খায়ের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।