নারায়ণগঞ্জে মহানগর বিএনপির বিশাল শোক র্যালি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৩৭ পিএম, ৬ অক্টোবর,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:৪৭ এএম, ১৭ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
দলের বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত নেতাকর্মীদের স্মরণে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিশাল শোক র্যালি করেছে মহানগর বিএনপি।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরের মিশনপাড়া এলাকা থেকে এই শোক র্যালির আয়োজন করা হয়।
শোক র্যালিতে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা বুকে কালো ব্যাজ ধারণ করে হাতে কালো পতাকা নিয়ে অংশ গ্রহণ করে। ওই সময় অনেক কর্মীর হাতে বাঁশের লাঠি দেখা গেছে। র্যালিটি নগরের মিশনপাড়া এলাকা থেকে শুরু হয়ে চাষাঢ়া ঘুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
র্যালিপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, কমিটির উপদেষ্টা প্রবীণ বিএনপি নেতা জামাল উদ্দিন কালু, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, কমিটির যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার হোসেন আনু, মনির হোসেন খান, এমএইচ মামুন, ফতেহ মোঃ রেজা রিপন, মাসুদুজ্জামান, রাশিদা জামাল, সদস্য অ্যাডভোটেক রফিকুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের আহবায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তু, সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল প্রমুখ। বিএনপির এই শোক র্যালিকে কেন্দ্র করে নগরের চাষাঢ়া গোল চত্তরে পুলিশ, ডিবি পুলিশ, রায়টকার প্রস্তুত ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ ভাবেই বিএনপির শোক র্যালি সমাপ্ত হয়।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, নারায়ণগঞ্জের বিএনপির নেতাকর্মীরা সরকারকে লাল কার্ড দেখাতে প্রস্তুত। যে কোন কিছুর বিনিময়ে আগামীতে দলের যে কোন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন তিনি। বক্তব্যে তিনি নারায়ণগঞ্জসহ সারাদেশে গ্রেপ্তার বিএনপি নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করেন। সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে র্যালি শুরুর আগে নিহত দলীয় নেতাকর্মীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
উল্লেখ্য, গত ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর র্যালিতে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে শাওন আহমেদ রাজা নামে এক যুবদল কর্মী নিহত হন। ২১ সেপ্টেম্বর মুন্সীগঞ্জে বিএনপির কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে শহিদুল ইসলাম শাওন নামে এক যুবদল কর্মী নিহত হয়। এর আগে গত ১ আগষ্ট ভোলায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আবদুর রহিম এবং জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলম নিহত হন।