প্রাণের বিনিময়ে আনুষ্ঠানিকতা রাষ্ট্রের কর্তব্য নয়-আ স ম রব
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:১৩ এএম, ২৯ জানুয়ারী,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:৫১ পিএম, ২৫ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, নির্বাচন এখন শুধুমাত্র একটি আনুষ্ঠানিকতা। কিন্তু এই আনুষ্ঠানিকতার জন্য অমূল্য প্রাণ ঝরে পড়বে এটা কোনোভাবেই মুক্তিযুদ্ধের রাষ্ট্রে গ্রহণীয় নয়। নির্বাচন নিয়ে তামাশা আর প্রাণ নিয়ে তামাশা সমকক্ষ হতে পারে না।
তিনি বলেন, মানুষ হত্যার পরিবেশ সৃষ্টি করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব ও কর্তব্য নয়। জনগণের অর্থ এবং প্রাণ আত্মসাৎ করে নির্বাচনী নাটক সমগ্র রাষ্ট্রব্যবস্থাকে ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে। নির্বাচনবিহীন সংস্কৃতির পরিণতি কী ভয়ঙ্কর হতে পারে তা সরকার উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হচ্ছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে হামলা গোলাগুলি, সংঘাত ও প্রাণহানি প্রশাসনের পক্ষপাতিত্ব এবং ক্ষমতাসীন দলের শক্তি প্রদর্শনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ছানোয়ার হোসেন তালুকদার বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে বিরোধীদলের প্রার্থীদের এজেন্টকে ঢুকতে না দেওয়া, ভোট কেন্দ্রগুলো ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে রাখা, গোপন বুথে অবাঞ্ছিত ব্যক্তিদের অবস্থান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের পক্ষপাতমূলক আচরণ এবং নির্বাচন কমিশনের নিষ্ক্রিয়তা নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
সংঘাত জবরদস্তি সহিংসতা নির্বাচনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশের ন্যূনতম কোনো ব্যবস্থা নেই। প্রতিটি নির্বাচনে প্রতিবার একই ধরনের কর্মকান্ড সংঘটিত হচ্ছে কিন্তু নির্বাচন কমিশন এবং সরকার প্রতিকারের কোনো ব্যবস্থাই গ্রহণ করছে না। বরং নির্বাচন ব্যবস্থাকে তামাশায় রূপান্তর করাটাই নির্বাচন কমিশন নৈতিক কর্তব্য হিসেবে গ্রহণ করে ফেলেছে। মানুষ হত্যার বিনিময়ে নির্বাচনী আনুষ্ঠানিকতা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। জনগণের অংশগ্রহণমূলক ও জনগণের অভিপ্রায়ের প্রতিফলন ঘটতে পারে এমন নির্বাচনী ব্যবস্থা প্রবর্তন করাই হবে রাষ্ট্রের দায় ও কর্তব্য।