ভোট ডাকাতিতে প্রশাসন রাষ্ট্রযন্ত্র আ’লীগ একাকার হয়ে গেছে-ডা. শাহাদাত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৫৯ এএম, ২৮ জানুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:৪৩ পিএম, ২৪ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন চলাকালে প্রায় সব কয়টি কেন্দ্র থেকে ভোটার ও এজেন্টদের বের করে দিয়ে নেতাকর্মী ও কাউন্সিল প্রার্থীর উপর মামলা, বহিরাগত ভোটার দিয়ে ভোট ডাকাতির অভিযোগ তুলেছেন বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন।
তিনি আজ সকালে বাকলিয়া বিএডস্থ নিজ কেন্দ্রে ভোট দিতে এসে বলেছেন, ভেবেছিলাম এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ভোটের সংস্কৃতি ফিরলেও ফিরতে পারে। হয়তো মানুষ ভোটাধিকার পাচ্ছে এর মধ্য দিয়ে। কিন্তু আমরা এ নির্বাচনে ভোট ডাকাতির নগ্নতা দেখতে পাচ্ছি।
ডা. শাহাদাত হোসেন পৌনে ১০টার দিকে ভোট দিতে এসে এসব কথা বলেন। ডা. শাহাদাত হোসেন আরও বলেন, আমার কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেওয়া হয়েছে। ভোট ডাকাতিতে প্রশাসন যন্ত্র ও রাষ্ট্র যন্ত্র মিলে মিশে একাকার হয়ে গেছে। জামাল খান ওয়ার্ডে আমাদের ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীকে হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত করা হয়েছে।
কেন্দ্রে নারী এজেন্টদের মারধর করা হয়েছে। তাদের কেন্দ্রে ঢুকতেও দেওয়া হয়নি। বিএনপির এজেন্ট সুমি আক্তার, শারমিন আক্তার ও নাজমা বেগম অভিযোগ করেন, তাদের মারধর করা হয়েছে। কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়নি। নারী এজেন্টদের লাঞ্ছিত করে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা। পুলিশ আমাদের কিছু পরিচিত ভোটারদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়নি। তিনি বলেন, এখন নির্বাচনের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ নয়, প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে প্রশাসনের সাথে। রাষ্ট্রযন্ত্র নিয়ন্ত্রণ করে ভোট হচ্ছে। ভোট ডাকাতিতে প্রশাসন রাষ্ট্রযন্ত্র আওয়ামী লীগ একাকার হয়ে গেছে।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আমার এলাকায় আমার কেন্দ্রে এজেন্টদের বের করে দিয়েছে। নাসিরাবাদ সিএন্ডবি সেন্টার থেকে ৫ জন এজেন্টকে বের করে দিয়েছে। ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে আসতে বাধার শিকার হচ্ছে। আমাদের এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়নি। পুলিশের কাছে অভিযোগ দিয়েছিলাম। তারা বলছে আমরা কিছু করতে পারবো না। তবে আমরা ভোট বর্জন করবো না সন্ধ্যা পর্যন্ত দেখবো। তার পর আওয়ামী লীগের ভোট ডাকাতির মুখোশ তুলে ধরবো বিশ্ব মিডিয়ার কাছে।