যেখানে নির্বাচনই হয়নি সেখানে বর্জন কিংবা প্রত্যাখানের কি আছে-আমীর খসরু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৫৪ এএম, ২৮ জানুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:২৪ পিএম, ১৫ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নির্বাচিত প্রতিনিধির দ্বারা সরকার গঠন করতে হবে। এ সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। ১৮ কোটি মানুষ এখন বিশ্বাস করে এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। এখন ভোট ডাকাতি নয়, মানুষের মৃত্যু হচ্ছে, নির্যাতনের শিকার হচ্ছে, এটা আরেকটা পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। এ সরকারের অধীন কোনো নির্বাচন করার প্রয়োজনীতা আছে বলে মনে হয় না।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগের সাথে বিএনপির প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল না দাবি করে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নির্বাচন হয়েছে আওয়ামী পুলিশ রাষ্ট্র বাহিনীর সাথে। কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে নির্বাচন হয়নি। মহানগরের বাইর থেকে সন্ত্রাসী এসে ভোট কেন্দ্র দখল করেছে। কাজেই এটা রাজনৈতিক দল নয় প্রশাসন যন্ত্রের সাথে নির্বাচন হয়েছে।
আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টায় চসিক নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী পুলিশ শতভাগ কাজ করেছে, নির্বাচনী প্রজেক্টের আওতায় যে বিষয় পালন করার নির্দেশনা তারা পেয়েছে সেটা তারা করেছে এবং অক্ষরে অক্ষরে তা পালন করেছে।
ফলাফল প্রত্যাখ্যান করছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে খসরু বলেন, যে নির্বাচন হয়নি সেটা প্রত্যাখ্যান করার কি আছে? এখানে নির্বাচনও হয়নি, সেটা প্রত্যাখ্যান করা আর না করার কি আছে। সামনের নির্বাচনগুলোতে অংশ নিবে কি না তা দল সিদ্ধান্ত নিবে বলে জানান তিনি। ফলাফলে বিএনপির প্রার্থীরা জয়ী হলে তখন কি বলবেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, কাউন্সিলর প্রার্থী জয়ী হলে তা কি হবে সেটা দল সিদ্ধান্ত নিবে।
সাংবাদিকরা কোনো ধরনের হামলার শিকার না হওয়াতে আনন্দিত জানিয়ে তিনি বলেন, বিগত নির্বাচনগুলোতে অনেক সাংবাদিক আহত হয়েছে, হামলার ঘটনা ঘটেছে। এবার সেটা হয়নি, এতে আমি শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ নগরীকে সন্ত্রাসীদের মিলন মেলায় পরিণত করেছে। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন হচ্ছে কতগুলো তাঁবেদার সেখানে তাদের বসিয়ে দেয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের ভোট চুরি-ডাকাতি সম্পন্ন করার জন্য। আমি তাদের বিষয়ে বেশি কিছু বলতে চাই না।
এসময় মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, নির্বাচন কমিশনকে আমরা তিনটি দাবি জানিয়েছিলাম। ইভিএম মেশিনকে সুরক্ষা, এনআইডি ছাড়া কেন্দ্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ও বহিরাগতদের ঠেকানো। কিন্তু সেটা হয়নি, প্রতিটি সেন্টারে হাজার হাজার বহিরাগতের অবস্থান দেখছি। আমাদের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। ২০০ নেতাকর্মী আটক করা হয়েছে। প্রায় কেন্দ্রে এজেন্ট বের করে দেওয়া হয়েছে। এ নির্বাচন নির্যাতনে পরিণত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, একরামুল করিম, সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলার আহবায়ক আবু সুফিয়ান, বিএনপি কেন্দ্রীয় সদস্য মীর হেলাল উদ্দিন, নগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, আবদুল মন্নান, সামসুল আলম, ইঞ্জি. বেলায়েত হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।