আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে বারবার হত্যা করেছে-মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৫৯ এএম, ২৫ জানুয়ারী,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০২:২৯ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
আওয়ামী লীগ দেশের গণতন্ত্রকে বারবার হত্যা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ একবার গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে ১৯৭৫-এ বাকশাল গঠন করে। এখন করছে অবৈধভাবে ক্ষমতায় থেকে।
আজ রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
দেশে বর্তমানে একটি প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার দরকার বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, যারা জনগণের ভাষা বোঝে না, তাদের ক্ষমতায় থাকার কোনো অধিকার নেই। আমরা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই।
তিনি বলেন, ১৯৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারি ছিল এ ভূখন্ডের রাজনৈতিক পরিবর্তনের এক মাইলফলক। আমরা সেদিন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলাম। দেশ মাতৃকার টানে সেদিন দাবি আদায়ে সবাই রাস্তায় নেমে এসেছিল। আজও সময় এসেছে এ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার। বর্তমান সরকার সংবিধানকে নিজেদের মতো করে পরিবর্তন করেছে বলেও অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল। সভায় সভাপতিত্ব করেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। এ সময় অন্যদের মধ্যে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শওকত মাহমুদ ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নিন্দা ও প্রতিবাদ : হবিগঞ্জ জেলাধীন চুনারুঘাট উপজেলার ১০ নং মিরাশী ইউনিয়ন বিএনপি সম্মেলনে পুলিশের ব্যাপক লাঠিচার্জে সভা পন্ড হয়েছে। সম্মেলন থেকে হবিগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক আলামিন তালুকদার এবং ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মাসুক সরদারসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশি হামলায় ৫০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। পুলিশের এই ন্যক্কারজনক আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপিসহ বিরোধী দলের যেকোন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা ও নেতাকর্মীদেরকে আহত করাসহ গ্রেফতারের মাধ্যমে হেনস্তা করার সর্বগ্রাসী অভিযান এখন আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে। হিংসাশ্রয়ী রাজনীতির ধারক আওয়ামী সরকার জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে সম্পূর্ণ গায়ের জোরে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর অবর্ণনীয় নির্যাতন নিপীড়ন অব্যাহত রেখেছে। বিএনপির কোনো কর্মসূচি দেখলেই সরকার আতঙ্কিত হয়ে পুলিশ দিয়ে তা দমনে বেপরোয়া হয়ে ওঠে। বিএনপিসহ বিরোধী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বানোয়াট মামলা দিয়ে গ্রেফতার ও জুলুমের মাধ্যমে দেশে এখন ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন চলমান রাখা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, মামলা এবং গ্রেফতার বাণিজ্যকে নিয়মে পরিণত করার মাধ্যমে দেশে আইনের শাসনের মূলোৎপাটন করা হয়েছে। বানোয়াট মামলা দায়ের ও গ্রেফতার আতঙ্কে বিএনপি নেতাকর্মীদের এখন দুঃসহ জীবন অতিবাহিত হচ্ছে। অবৈধ ক্ষমতা দখলে রাখতে বর্তমান আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের আশ্রয় নিয়েছে। আজ চুনারুঘাট উপজেলার ১০ নং মিরাশী ইউনিয়ন বিএনপি সম্মেলনে পুলিশের ব্যাপক লাঠিচার্জ এবং সম্মেলন থেকে হবিগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক আলামিন তালুকদার ও ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মাসুক সরদারসহ তিনজনকে গ্রেফতার ও ৫০ জনকে আহত করার ঘটনা সরকারের ফ্যাসিবাদী শাসনের আরও একটি বহিঃপ্রকাশ। শান্তিপূর্ণ সম্মেলনে পুলিশি হামলা, নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতার ও আহত করার ঘটনায় আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি করছি। আহত নেতাকর্মীদের আশু সুস্থতা কামনা করছি।