মোদি টিকা নেননি বলেই শেখ হাসিনাও নিচ্ছেন না-ডা. জাফরুল্লাহ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:১৫ এএম, ২৫ জানুয়ারী,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:২৮ এএম, ১৬ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি করোনা টিকার প্রথম ডোজ নেননি বলেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সবার আগে টিকা নিতে রাজি হলেন না বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ভারতের দেয়া উপহারের টিকার কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ পোষণ করে তিনি বলেছেন, ‘ওখানে নরেন্দ্র মোদি নেননি, এখানে আমার প্রধানমন্ত্রীও নিতে রাজি হলেন না। ব্যাপারটা কী, এটিই সন্দেহ। দুর্নীতি আর অপচয় এই সরকারের অপর নাম বলে মন্তব্য করে প্রতিটি ক্ষেত্রে, প্রতিটি কার্যকলাপে সরকারের দুর্নীতি দৃশ্যমান বলেও দাবি করেন ডা. জাফরুল্লাহ।
আজ রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আজ প্রধানমন্ত্রী ভ্যাকসিন নিতে ভয় পাচ্ছেন কেন? কারণ হলো, ওনার প্রধান পরামর্শদাতা হচ্ছে ভারতের এজেন্ট। এটা আমার কথা না। এটি ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনীর অন্যতম একজন শশাঙ্ক ভট্টাচার্যের কথা। ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনীর সাথে আওয়ামী লীগের সম্পর্ক ১৯৬১ সাল থেকে। শশাঙ্ক ভট্টাচার্য ১৯৬১ সালে বঙ্গবন্ধুর সাথে দেখা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর লেখা চিঠি নেহরুর কাছে দিয়েছিলেন। ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনীর ‘কথা না শোনায়’ ১৯৭৫ সালের ঘটনার সাথে ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনীর একটা যোগসূত্র আছে দাবি করে তিনি বলেন, এখন এই গোয়েন্দা বাহিনী আমাদের প্রধানমন্ত্রীর ওপর ভর করেছে। তা না হলে এত সহজ একটি কাজ (টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করা), সেই কাজটি প্রধানমন্ত্রী করছেন না কেন? অর্থাৎ টিকাটা তিনি নিচ্ছেন না কেন? তাহলে ভারতের চক্রান্তটা কোথায়, তা বোঝার দরকার আছে। ডা. জাফরুল্লাহ আরও বলেন, করোনার ভ্যাকসিন আমাদের অধিকার। প্রতিটি জনগণের এই ভ্যাকসিনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আজকেও যদি পত্রিকা দেখেন, করোনার কারণে দেশে দরিদ্রতা বেড়েছে। তাই দেশের জনগণ যাতে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যেতে পারে সেজন্য গরিবদের ভ্যাকসিন দেয়া দরকার। কিন্তু সরকার ভালো কথা শুনবে না। দেশের সব মানুষকে বিনামূল্যে টিকা প্রদানের বিষয়ে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমি বলি, আমার নাম যদি আসে আমি টিকা নেবো। তো আপনারাও টিকা নেবেন, এটা আমাদের অধিকার। আজকে আমাদেরকে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এটা কোনও ব্যক্তিবিশেষ দু-চারজনকে দেয়া তা না, আমাদের সবাইকে টিকা দিতে হবে। এ সময় সংগঠনটির আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার সভাপতিত্বে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শওকত মাহমুদ ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি প্রমুখ বক্তব্য দেন।