জনবিচ্ছিন্ন সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য পুলিশ দ্বারা হত্যা ও নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে : বিএনপি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৩০ পিএম, ২ আগস্ট,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ১১:৩৩ এএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
ফ্যসিস্ট সরকারের দুরশাসন, দুর্নীতির কারণে এই সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়েছে। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এই পুলিশ দ্বারা হত্য ও নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। সোমবার রাতে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় বক্তরা এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, বাবু গয়েশ^র চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান।
সভায় নিম্নবর্ণিত সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয়।
১। সভায় বিগত ২৫ জুলাই অনুষ্ঠিত জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ পঠিত ও অনুমোদিত হয়।
২। অসহনীয় লোডশেডিং ও জ¦ালানি অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে বিএনপি ঘোষিত জেলা পর্যায়ে প্রতিবাদ সমাবেশের কর্মসূচিতে গত ৩১ জুলাই ভোলায় শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশের অতর্কিত হামলা ও গুলি বর্ষণে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আব্দুর রহিম শহীদ হয়েছেন এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশারফ, ভোলা জেলার সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর, ভোলা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন, ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলম, নজরুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের মুনীরসহ প্রায় ৪ শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হওয়ায় তীব্র ক্ষোভ ও ঘৃণা প্রকাশ করা হয়। সমাবেশ ও মিছিল করা রাজনৈতিক দলের সাংবিধানিক অধিকার। শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশ একদিকে সংবিধান এবং অন্যদিকে হত্যা করে গুরুতরভাবে মানবাধিকার লংঘন করেছে। সভায় পরবর্তীতে ভোলা জেলার সভাপতিসহ ৪ শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করায় তীব্র প্রতিবাদ জানায় এবং নিন্দা প্রকাশ করা হয়। সভায় শহীদ আব্দুর রহিমের রুহের মাগফিরাত কামনা ও পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়। সভায় আহতদের সুচিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভা মনে করে ফ্যাসিস্ট সরকারের দুঃশাসন, দুর্নীতির কারণে এই সরকার জন বিচ্ছিন্ন হয়েছে। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এই পুলিশ দ্বারা হত্যা ও নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে। সরকারের দুঃশাসন, দ্রব্যমূল্যর অসহনীয় মূল্য বৃদ্ধি, নজিরবিহীন লোডশেডিং, জ¦ালানির অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে যখন জনগণ সোচ্চার হয়ে উঠেছে তখনই সরকারের ঘৃণিত খুনির চেহারা প্রকট হয়ে উঠছে। সভায় সকল দেশ প্র্রেমিক ও গণতন্ত্রকামী মানুষকে এবং সকল রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই অনির্বাচিত, কর্তৃত্ববাদী ফ্যসিষ্ট সরকারকে গণ-আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পরাজিত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করার আহ্বান জানানো হয়। চলমান আন্দোলনকে আরও জনসম্পৃক্ত ও বেগবান করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
৩। সভায়, কৃষিমন্ত্রণায় কর্তৃক ইউরিয়া সারের দাম ৬ টাকা বৃদ্ধি করায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সভা মনে করে একদিকে বিদ্যুতের লোডশেডিং এর ফলে সেচ ব্যহত হবে অন্য দিকে ইউরিয়া সারের দাম বস্তা প্রতি ৩০০ টাকা বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষি উৎপাদন চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে। কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হবে এবং খাদ্য নিরাপত্তা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। সভায় অবিলম্বে ইউরিয়া সারের মূল্য পূর্ববস্থায় রাখার দাবী জানানো হয়।