এমপির বিরুদ্ধে অধ্যক্ষকে পেটানোর অভিযোগ সত্য, কথা ঘুরিয়েছেন ভয়ে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৪৪ পিএম, ১৬ জুলাই,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ১১:১৪ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে এক কলেজ অধ্যক্ষকে পেটানোর অভিযোগ সত্য বলে দাবি করেছেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ। তিনি বলেন, ‘ভুক্তভোগী অধ্যক্ষ সেলিম রেজাকে সবার সামনেই মারধর করা হয়েছে। পরে তিনি আমার কাছে স্বীকার করেছেন। তার শরীরে বিভিন্ন জায়গায় আঘাতপ্রাপ্তের প্রমাণ রয়েছে। ফারুক চৌধুরীর ভয়ে তিনি এখন কথা ঘুরিয়েছেন।’
আজ শনিবার (১৬ জুলাই) নগরীর লক্ষীপুর মোড়ে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন আসাদুজ্জামান আসাদ। সেখানে তিনি সংসদ ওমর ফারুক চৌধুরী বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেন।
যদিও ১৪ জুলাই আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পেটানোর অভিযোগ অসত্য ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন অধ্যক্ষ সেলিম রেজা নিজেই। সংবাদ সম্মেলনে এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। তার পাশে বসে শিক্ষক রেজা বলেন, ‘৭ জুলাই কয়েকজন অধ্যক্ষ মিলে এমপির সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। এসময় অধ্যক্ষ ফোরামের কমিটি গঠন ও অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হলে এমপি ফারুক চৌধুরী তাদের নিবৃত করেন। এমপি তাকে কোনো মারধর করেননি।’
তিনি দাবি করেন, ‘এমপির সঙ্গে দেখা করে বের হওয়ার পর সাংবাদিক পরিচয় গোপন করে গোয়েন্দা সংস্থায় কর্মরত বলে এক ব্যক্তি তার বাড়িতে যান। ওই ব্যক্তি তার ছবি তোলার চেষ্টা করেন ও মামলা করতে চাপ দেন। পরে মনগড়া তথ্য দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়।’
এদিকে, আজকের সংবাদ সম্মেলনে আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, এমপি ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুদক ২০২০ সালে তদন্ত শুরু করে। সে সময় অর্থ আত্মসাৎ, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি, জামায়াত-বিএনপি ব্যক্তিদের নিয়োগসহ ২০ ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ উঠে এসেছে। এর আগেও তিনি কয়েকজন শিক্ষককে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করেছেন। স্কুল-কলেজ সরকারিকরণ করার নামে তিনি কোটি কোটি টাকা শিক্ষকদের কাছে থেকে নিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এছাড়া বর্তমান সাংসদ ফিড্রম পার্টি করতেন। তিন বারের সংসদ সদস্য হয়েও তিনি একবারও নৌকায় ভোট দেননি বলে অভিযোগ করেন আসাদুজ্জামান আসাদ।