বন্যা থেকে মক্তির জন্য সিলেট জেলা বিএনপির গণদোয়া মাহফিল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৩৬ পিএম, ২০ জুন,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:০৯ পিএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
সিলেটে সাম্প্রতিক সময়ে শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা থেকে মুক্তির জন্য গণদোয়া মাহফিল করেছে সিলেট জেলা বিএনপি। মোনাজাতে সিলেটবাসীকে বন্যা থেকে মুক্তি, বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও তারেক রহমানের দেশে ফেরার প্রতিবন্ধকতা দুর করার জন্য মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রার্থনা করা হয়।
আজ সোমবার বিকেলে সিলেট নগরীর কোর্ট পয়েন্টে গণদোয়া মাহফিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুুম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী। দোয়া পরিচালনা করেন ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক দল জমিয়তের সিলেট মহানগরের সভাপতি মাওলানা আব্দুল মালিক চৌধুরী।
মোনাজাত পূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, এই বন্যা কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয়, এটি সম্পূর্ণ মানবসৃস্ট। দীর্ঘ দিন থেকে জনগণের সরকার ক্ষমতায় না থাকার কারনে সিলেট অঞ্চলের নদ-নদী গুলি খনন করা হয়নি। উল্টো সরকার দলের নেতা-পাতিনেতাদের ছত্রছায়ায় অবৈদ দখল হয়ে এসব নদী নাব্যতা হারিয়েছে। যার কারনে এখন অকাল বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। অভিলম্বে নদ-নদী সমূহ খনন করে সিলেটবাসীকে এই দুর্ভোগ তেকে মুক্তি দিতে হবে। গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি উনার বাড়িতে যাওযার জন্য হাওরের মধ্য দিয়ে যে ৭৭ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করেছেন তার জন্যই সিলেটে এই বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। এক ব্যাক্তির জন্যই সিলেটবাসী আজ বন্যার পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে প্রতিবছরই সিলেটে এভাবে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হবে। সিলেটের জনগণকে উন্নয়নের নামে এসব অপকর্ম ও লুটপাতের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সিলেটের মানুষের দুর্ভোগে সবাইকে সাধ্যমত এগিয়ে আসতে হবে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার যদি ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসত, তাহলে তারা জনগণের দুঃখ কস্টের কথা উপলব্দি করতে পারত। ভোট চুরের সরকারের জনগনের প্রতি কোন দায় নেই। তাই এই সরকারকে ক্ষতমা থেকে বিতাড়িত করতে হবে।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, সিলেটবাসী যখন বন্যার পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছেন তখন এই অঞ্চলের সংসদ সদস্যরা ঢাকায় আয়েশী সময় কাটাচ্ছেন। তার কারণ হচ্ছে, তারা তো জনগণের ভোটে নির্বাচিত হন নি, ভোটে নির্বাচিত হলে জনগণের প্রতি কিছুটা হলেও তাদের দায়বদ্ধতা থাকত। অতিতের মত আগামী দিনেও দেশবাসীর যেকোন প্রয়োজনে বিএনপি পাশে থাকবে ইনশাআল্লাহ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল গাফফার, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এমদাদ হোসেন চৌধুরী, সিলেট জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ, সিলেট জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সাবেক সদস্য মামুনুর রশীদ মামুন, সিদ্দিকুর রহমান পাপলু, মাহবুবুল হক চৌধুরী, দক্ষিন সুরমা উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী শাহাব উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক কোহিনুর আহমদ, গোয়াইনঘাট উপজেলা বিএনপি সভাপতি মাহবুব আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান, সিলেট জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ, বিএনপি নেতা আফম কামাল, শাকিল মোর্শেদ, লুকমান আহমদ, সিলেট জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি সুরমান আলী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, মহানগর শ্রমিক দলের সভাপতি আব্দুল আহাদ, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর চৌধুরী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মাসুম ইবনে রাজ্জাক রুমেল সদস্য সচিব দেওয়ান জাকির খান, জেলা জাসাসের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জয়নাল আহমেদ রানু, যুবদল নেতা লিটন আহমেদ, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ সভাপতি অ্যাড. নজরুল ইসলাম, জেলা জাসাস সদস্য সচিব রায়হান এইচ খান প্রমুখ।
এদিকে, সিলেট জেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ গোয়াইনঘাট পূর্ব আলীরগাও ইউনিয়নের বাঘের সড়ক এলাকায় এবং দক্ষিণ সুরমা উপজেলার সিলাম ইউনিয়নের বিরাহিমপুর, টিকরপাড়া, কলারতল বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় ২ হাজার ৪ শত মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।