বাংলাদেশ স্বৈরাচারী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে : মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০৮ এএম, ১৫ মে,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:০৮ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
দেশে এখন কঠিন ক্রান্তিকাল চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার দাবি, বাংলাদেশ স্বৈরাচারী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।
আজ শনিবার (১৪ মে) দুপুরে দিনাজপুর শহরের ইনস্টিটিউট মাঠ প্রাঙ্গণে জেলা বিএনপির কাউন্সিলে প্রধান বক্তা হিসেবে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই দেশের জনগণ তারেক রহমান ও বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তাঁর পুত্র তারেক রহমানের নেতৃত্বে এই দেশে গণতন্ত্র আবার ফিরে আসবে। এই সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। একইসঙ্গে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন করতে হবে। এজন্য দরকার দুর্বার আন্দোলন।
তিনি বলেন, আজ দেশে একটা কঠিন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করতে হচ্ছে। ১৯৭১ সালে একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও শান্তির দেশের জন্য আমরা যুদ্ধ করেছিলাম। কিন্তু আজ আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে আমরা হতাশ হয়ে পড়ছি। তারা স্বাধীনতার পক্ষের কথা বললেও বাস্তবে স্বাধীনতাবিরোধী কাজ করছে। আওয়ামী লীগ বর্তমানে বাংলাদেশকে স্বৈরাচারী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। এখন টেলিভিশন, পত্রিকাসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম দেখলে শুধু হত্যা, ধর্ষণ, রাহাজানির খবর ছাড়া কিছুই দেখা যায় না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ও তাঁর পরিবার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন বলে বিদেশে প্রচার হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকার আজকে প্রশাসনকে ধ্বংস করে দিয়েছে। সংবাদমাধ্যমকে দলীয়করণ করেছে এই সরকার। দিনাজপুর সংগ্রামের জনপদ, এই অঞ্চলের মানুষ সংগ্রাম করতে জানে। তাই এই জেলায় প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পদচারণা ছিল। এমনকি তিনি নিজের জীবন সঙ্গিনী হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন দিনাজপুরের কন্যা বেগম খালেদা জিয়াকে। কিন্তু তিনি আজ মিথ্যা মামলায় গৃহবন্দি হয়ে আছেন।
দিনাজপুর জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রেজিনা ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আসাদুল হাবিব দুলু, কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
জানা গেছে, জেলা বিএনপির কাউন্সিলে সাতটি পদের বিপরীতে ১৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। জেলার ১৩টি উপজেলার ২০টি ইউনিটের ১ হাজার ৯১৯ জন কাউন্সিলর ও ডেলিগেট গোপন ব্যালটের মাধ্যমে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।