সারাদেশে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৫৯ এএম, ১৫ মে,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:৩৩ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
টাঙ্গাইল,
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেছেন, আওয়ামী লীগের এ অবৈধ সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না। তিনি বলেন, দিনের ভোট রাতে করে তারা অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসেছে। তারা জনগণের ভোটের অধিকার, গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা হরণ করেছে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে জনগণ আজ দিশেহারা। তারা দুর্নীতি, লুটপাট, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের শাসন কায়েম করেছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের গুম, খুন করে, মিথ্যা মামলা দিয়ে, জেল, জুলুম, নির্যাতন ও হামলা করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। দিশেহারা জনগণ এ অবস্থার অবসানে জেগে উঠেছে। তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কায় স্বৈরশাসকের পতনের পর অত্যাচারিত জনতার রোষানলে পড়ে যেমনি মন্ত্রী, এমপিরা নদিতে ঝাঁপিয়ে পড়ছে, তেমনি শেখ হাসিনার অবৈধ সরকারও বঙ্গোপসাগরে ঝাঁপিয়ে পড়বে সেদিন আর বেশি দূরে নয়।
সারাদেশে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যে এবং বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাদের ওপর সরকারি দলের হামলার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার সকালে শহরের রেজিস্ট্রিপাড়া এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে জেলা বিএনপি।
এতে জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক হাসানুজ্জামিল শাহীনের সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল, কাজী শফিকুর রহমান লিটন, দেওয়ান শফিকুল ইসলাম, জেলা যুবদলের আহবায়ক খন্দকার রাশেদুল আলম রাশেদ, সদস্য সচিব তৌহিদুল ইসলাম বাবু, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি তারিকুল ইসলাম খান ঝলক, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রৌফ, জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক একেএম মনিরুল ইসলাম, জেলা মহিলাদলের সাবেক সভাপতি নিলুফার ইয়াসমিন খান, জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক দুর্জয় হোড় শুভ, সদস্য সচিব আব্দুল বাতেন প্রমুখ। এসময় বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দসহ বিরোধী দলের নেতাদের ওপর আক্রমণ করেছে। কুমিল্লার দাউদকান্দিতে স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশারফ হোসেনের ওপর হামলা ও তার বাসভবনে আক্রমণ এবং বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। এ হামলার প্রতিবাদ জানাই। পতনের ভয়ে এ সরকারের ঘুম হারাম হয়েছে।
বক্তারা আরোও বলেন, শ্রীলঙ্কায় যে সরকারি দলের মন্ত্রী এমপিরা যে পরিমাণ দুর্নীতি করেছে তাদের চেয়েও আমাদের দেশের মন্ত্রী এমপিরা দুর্নীতি করে বিদেশে টাকা পাচার করছে। এ দুর্নীতির বিচার এ দেশের জনগণ করবে। এর আগে সমাবেশ স্থলে বিভিন্ন এলাকা থেকে খন্ড খন্ড মিছিল এসে সমাবেশস্থলে সমবেত হয়।
নারায়ণগঞ্জ,
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মোঃ শাহজাহান ওমর (বীর উত্তম) বলেছেন, আওয়ামী লীগ কখনও প্রকৃত নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারেনি। ’৭৩ সালে তারা একদলীয় নির্বাচন করেছে। এর পরে তারা প্রতিবার হেরেছে। ’৯৬ সালে মখা আলমগীরের নেতৃত্বে জনতার মঞ্চ করে সামান্য কয়টা ভোটে তিনি জিতেছিলেন। ২০০১ সালে তিনি আরও খারাপ ভাবে হেরেছিল। এক এগারোর সরকারের সময় হাসিনা বলেছিল আমাকে সাহায্য করলে বৈধতা দেব। পরে তারা কারচুপি করে হাসিনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। তার পরের ঘটনা আপনারা সবাই জানেন।
আজ শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশব্যাপী আওয়ামী সন্ত্রাস নৈরাজ্য ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বিএনপির আয়োজিত বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
জেলা বিএরপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মনিরুল ইসলাম রবির সভাপতিত্বে ও মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ টিপুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শাখাওয়াত হোসেন খান, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, যুগ্ম-আহবায়ক জাহিদ হাসান রোজেল, আহবায়ক সদস্য মাসুকুল ইসলাম রাজীব, জেলা যুবদলের আহবায়ক গোলাম ফারুক খোকন, সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, মহানগর যুবদলের আহবায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তু, সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি শাহেদ আহমেদ।
ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বলেন, আপনাদের ব্যানারে লেখা প্রতিবাদ। হাসিনা কি প্রতিবাদ বোঝে? সে বোঝে না। সে শুধু বোঝে মুগুরবাদ। এ হল বক্তব্যের সারমর্ম। প্রতিবাদ করে লাভ নেই। সুন্দর কথা হাসিনা বোঝে না। প্রতিরোধ করতে হবে প্রয়োজনে মুগুরবাদও দিতে হবে। হাসিনা নির্বাচন দিতে ভয় পায়। সুষ্ঠু নির্বাচন দূরের কথা সে অসুষ্ঠু নির্বাচনও দেবে না। এভাবে আর নির্বাচন করতে দেয়া হবে না। বেহুদা কমিশনের মত নির্বাচন কমিশন দিয়ে আর নির্বাচন করতে দেয়া হবে না। যে কোন মূল্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। আগামীতে আমরা বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে অবশ্যই আমরা নারায়ণগঞ্জের পাঁচটা সিট আপনারা বেগম খালেদা জিয়াকে উপহার দিতে সক্ষম হবেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার পরিবারে ৪১ জন সংসদ সদস্য। শ্রীলংকার দিকে তাকান। সেখানে এমপি মন্ত্রীদের ধরে মানুষ মুগুরবাদ দিচ্ছে। শেখ হাসিনার চার গুন আর তা হলো হামলা, মামলা, গুম, খুন। সাত খুন কোথায় হয়েছিল, এই নারায়ণগঞ্জে। আপনারা যদি জাগতে পারেন তাহলে তারা পালাবে। হঠাৎ আওয়ামী লীগের কিছু নেতার শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে। ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন ফরিদপুরের আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। তারা শেখ হাসিনার আত্মীয়। এরকম বিভিন্ন জেলায় তারা লুটপাট করছে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, শেখ হাসিনা, আপনার দল অবৈধভাবে টাকা পাচার করে। বিভিন্ন দেশে তারা টাকা পাচার করে। তিনি নিজের দলকে ক›েত্রাল করতে পারেন না। আওয়ামী লীগ নিজেই নিজের সবচেয়ে বড় শত্রু আপনার ছেলে জয়ের বেতন দুই লক্ষ ডলার। এ টাকা কোথা থেকে আসে। একদিন কি তাকে প্রশ্ন করবে না। তিনি আমেরিকা বসে কি এমন কাজ করছে যে তাকে এত টাকা দিতে হবে। আমাদের অবস্থা শ্রীলংকার চেয়েও খারাপ হবে। আপনি এ দেশকে কি দিয়েছেন। মেধাবী ছাত্ররা চাকরি পায় না। যারা আওয়ামী লীগ করে তারা পুলিশ, বিসিএস ক্যাডার হয়ে যায়। আপনার দল যদি এত শক্তিশালী হয় তাহলে নিরপেক্ষ নির্বাচন দিন। তাতে যদি জিতে আসেন আমরা সবাই দাঁড়িয়ে আপনাকে স্যালুট জানাবো।
বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে। আজকে দেশে কোন নির্বাচন নেই। একদলীয় শাসন চলছে দেশে। এজন্য স্বাধীনতা নেয়া হয়নি, মুক্তিযুদ্ধ করা হয়নি। আজকে দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। এভাবে দেশ চলতে পারে না। আজ আমাদের নেত্রীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে রাখা হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে কারণ তিনি বাইরে থাকলে শেখ হাসিনা অবৈধভাবে নির্বাচন করতে পারবেন না।
তিনি বলেন, হাসান মাহমুদ পাকিস্তানের দিকে তাকান, শ্রীলংকার দিকে তাকান। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলতে চাই আপনারা জনগণের পাহারাদার, আওয়ামী লীগের পাহারাদার হবেন না। এর জবাবও আপনাদের একদিন দিতে হবে। আমাদের অনেক জায়গায় ইফতার মাহফিল করতে দেয়নি। আমাদের সিনিয়র নেতা মোশাররফ হোসেনের ওপর হামলা করা হয়েছে। আমি বলতে চাই এদের শেষ সময় তারা অনেক কিছুই বলবে। আসুন সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ সরকারকে প্রতিহত করি।
খাগড়াছড়ি,
বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল বলেছেন, এ সরকারের অধীনে নয়, ইভিএমেও নয় এমনকি এ নির্বাচন কমিশনের অধীনেও নয়, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। বাংলার মানুষ রাজপথে তার ফয়সালা করবে।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতি, অনিয়ম, লুটপাট, খুন ও গুমের বিচার হবে জনতার আদালতে, প্রকাশ্যে, খোলা আকাশের নিচে।
তিনি আজ শনিবার (১৪মে) দুপুরে বিএনপি ও বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের উপর হামলা ও ভোজ্যতেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ-সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। এর আগে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে উপস্থিত হন হাজারো নেতাকর্মী।
সভাপতির বক্তব্যে খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আ. ওয়াদুদ ভূইয়া বলেন, শ্রীলংকার পরিস্থিতি দেখে আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী, এমপি ও নেতাকর্মীদের মধ্যেও কাঁপন শুরু হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে তিন বর্তমান ও সাবেক মন্ত্রী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বর্তমান সরকারের মন্ত্রী, এমপি ও নেতাদের অবস্থা শ্রীলংকার চেয়ে ভয়াবহ হবে। আর ২০২২ সাল হবে আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সাল।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এন আবছার, সহ-সভাপতি প্রবীণ চন্দ্র চাকমা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম নোমান, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক মিন্টু, অনিমেষ চাকমা রিংকু, মোশাররফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রব রাজা, জেলা মহিলা দলের সভাপতি কুহেলী দেওয়ান, জেলা সে¦চ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান সাগর ও জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল আলমসহ বিএনপি ও অংগ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
জামালপুর,
বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী বলেন, বাংলাদেশ শ্রীলংকার মত খুব কাছাকাছি এসে গেছে। ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা দেশ ছেড়ে চলে গেছে। এখন আরো চলে যাবার চেষ্টা করছে। সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীরা প্রাণের ভয়ে তারা পরিবার পরিজন নিয়ে দেশ ছেড়ে বিদেশে যাওয়া শুরু করে দিয়েছিল। শেখ হাসিনা বুঝতে পেরেছিল তারা যদি আমাকে ছেড়ে বিদেশে চলে যায়, তাহলে আমার সরকারের পতন হয়ে যাবে। তাই সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিদেশ যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এই দেশ আওয়ামী লীগের দেশ নয়, এই দেশের মালিকও আওয়ামী লীগ নয়, এদেশের মালিক জনগণ। আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতারা বলেন, স্বাধীনতার মালিক আপনারা, মুক্তিযুদ্ধের মালিক আপনারা, আপনাদের দলের কয়জন মুক্তিযোদ্ধা আছে। বিএনপির মুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা দিয়ে আওয়ামী লীগ দলীয়করণ করেছে।
তিনি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন নিশ্চিত করতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে দেশের জনগণকে সাথে নিয়ে বিএনপিকে রাজপথের আন্দোলনে প্রস্তুত থাকার আহবান জানান।
আজ শনিবার শহরের স্টেশন রোডে জেলা বিএনপি আয়োজিত দেশব্যাপী বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের উপর আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেছেন।
প্রধান বক্তা বিএনপির ময়মনসিংহ বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও জামালপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ্ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন বলেছেন, আমরা শ্রীলঙ্কার মত বাংলাদেশ হোক এই অবস্থা চাই না। এখনো সময় আছে রক্তপাতহীন আন্দোলন ছাড়া অবৈধ সরকারের শেখ হাসিনা ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করুন। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা দিন। দেশের জনগণকে ভোট দেয়ার সুযোগ করে দিন।
এই অবৈধ সরকার যদি জুলুম করে ক্ষমতা ধরে রাখতে চায় তাহলে আগমী দিনে আমাদের যদি শরীর থেকে রক্ত দিতে হয়, কারো জীবন দিতে হয়, তাহলে আন্দোলন করে ক্ষমতার মসনদ থেকে শেখ হাসিনার সরকারকে টেনে হেঁচড়ে পদত্যাগে বাধ্য করবো। তখন আপনার কত নেতাকর্মীদের যে রক্ত দিতে হবে, জীবন দিতে হবে, সে হিসাব আপনি দিতে পারবেন না।
মামুন বলেন, আওয়ামী লীগের দলীয় সরকারের অধীনে ১৩ বছরে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। আগামীতেও দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। তাই নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে।
নির্বাচন নিশ্চিত করতে হলে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে নয় তাকে ক্ষমতার বাইরে রেখে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে। বিএনপি আর অবৈধ শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে যাবে না।
জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল হক শামীমের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি নেতা লিয়াকত আলী, আনিসুর রহমান বিপ্লব, শহীদুল হক খান দুলাল, আহসানুজ্জামান রুমেল, লোকমান আহমেদ খান লোটন, সজিব খান, শাহ আব্দুল্লাহ আল মাসুদ প্রমুখ।
জয়পুরহাট,
দেশব্যাপী আওয়ামী সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে জয়পুরহাটে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
আজ শনিবার দুপুর ১২ টায় জেলা বিএনপির অফিসের সামনে জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যক্ষ শামছুল হকের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক সাবেক এমপি সামশুজ্জোহা খান।
আরও বক্তব্য রাখেন রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চন্দন, জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক মাসুদ রানা প্রধান, আব্দুল ওয়াহাব, সদস্য ফজলুর রহমান, সেলিম রেজা ডিউক, আক্কেলপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র আলমগীর চৌধুরী বাদশা, মহিলা দলের সভাপতি দৌলতুন নাহার, সাধারণ সম্পাদক জাহেদা কামাল, ছাত্রদলের সভাপতি মামুনুর রশিদ, জেলা যুবদলের আহবায়ক এটিএম শাহনেওয়াজ কবির শুভ্র, সদস্য সচিব মোকতাদুল আদনানসহ অন্যরা।
প্রধান অতিথি বলেন, বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করলে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে, নইলে এই সরকারের অধীনে আর কোন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না বিএনপি।
তারা অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা ও সাজা বাতিল করে দেশে আসার সুযোগ দেয়ার দাবি জানান।
সভাপতির ভাষণে অধ্যক্ষ শামছুল হক বলেন, এই মাসে দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্রে মহান স্বাধীনতার ঘোষক বিএনপি চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম-কে হত্যা করা হয়। আজকে আমাদের শপথ নিতে হবে জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে এই স্বৈরাচারী ভোট চোর সরকারকে উৎখাত করে জনগণের ভোটের অধিকার ফেরত দিতে হবে।
শরীয়তপুর,
বিএনপির কেন্দ্রীয় (ফরিদপুর বিভাগীয়) সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেছেন, শেখ হাসিনার বর্তমান স্বৈরাচারী সরকারের অধীনে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষ অতিষ্ঠ। তাই বর্তমান সরকারের জুলুম, নির্যাতন ও অত্যাচারের হাত থেকে দেশের জনগণকে রক্ষা করতে হবে। এজন্য বিএনপির সকল নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
আজ শনিবার (১৪ মে ২০২২) দুপুরে দেশব্যাপী বিএনপিসহ বিরোধী নেতাকর্মীদের উপর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূি অংশ হিসেবে শরীয়তপুর জেলা বিএনপি'র আয়োজনে আংগারিয়া এলাকায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বিএনপিসহ বাংলাদেশের মানুষ ইভিএম মানে না। দেশের সর্বস্তরের মানুষ এখন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন চায়। এলক্ষ্যে সব গণতান্ত্রিক দল ও মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। তাই অবিলম্বে জনগণের দাবি মেনে নিয়ে ব্যালটের মাধ্যমে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। আর দেশের সকল রাজবন্দিকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।
শরীয়তপুর জেলা বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি সরদার একেএম নাসির উদ্দীন কালুর সভাপতিত্বে এবং জেলা বিএনপি'র সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব সাঈদ আহমেদ আসলামের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি'র কেন্দ্রীয় (ফরিদপুর বিভাগীয়) সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, কৃষক দলের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মিয়া সম্রাট।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শরীয়তপুর জেলা বিএনপি'র সহ-সহভাপতি শাহ মো. আব্দুস সালাম, আলহাজ্ব সিরাজুল হক মোল্যা, অ্যাড. জাহাঙ্গীর আলম কাশেম, বিএম হারুন অর রশীদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ টিপু, পৌরসভার সভাপতি অ্যাড. লুৎফর রহমান ঢালী, জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম লিটন মুন্সী, সদর উপজেলার সাবেক সভাপতি আকতার হোসেন মাঝী, ছাত্রদল নেতা পান্থ তালুকদার প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের বিপুলসংখ্যক নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে সাবেক এমপি সরদার একেএম নাসির উদ্দীন কালু বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্দলীয় সরকারের অধীনে দিতে ক্ষমতাসীনদেরকে বাধ্য করতে হবে। এজন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে দলের হয়ে কাজ করতে হবে।
সমাবেশে জেলা বিএনপি'র সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ আহমেদ আসলাম বলেন, বিএনপি’র হাতেই বাংলাদেশ নিরাপদ। কারণ বিএনপিই একমাত্র দল, যেই দল বারবার ক্ষমতায় এসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। আর বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা ঐক্যবদ্ধ। এছাড়া শরীয়তপুরের কৃতি সন্তান মিয়া নুরুদ্দিন অপুর একটিই অপরাধ, তিনি তারেক রহমানের একান্ত সচিব; তাই তিনি বর্তমান সরকারের নানান অত্যাচারে শিকার। আমরা তার অবিলম্বে মুক্তি চাই।
সমাবেশে অন্যান্য বক্তরা বলেন, গত কয়েক দিনে সারাদেশে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বিএনপির সিনিয়র নেতাদের থেকে শুরু করে অন্যান্য বিরোধী দলের নেতাদের ওপর আক্রমণ চালিয়ে একটা সন্ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে। তাই আমরা এই বর্তমান সরকারের পদত্যাগ চাই।
শেরপুর,
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মো. জহিরুল হক শাহজাদা মিয়া বলেন, জাতীয় বেঈমান, মিথ্যাবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না বিএনপি। তিনি আজ দুপুরে দেশব্যাপী আওয়ামী সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে শেরপুর জেলা বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দানকালে এ কথা বলেন।
জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য মো. মাহমুদুল হক রুবেলের সভাপতিত্বে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে আয়োজিত এ সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হযরত আলী, সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. সিরাজুল ইসলাম, সহ-সভাপতি এস.এম. শহীদুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মাসুদ, উপদেষ্টা এ.টি.এম আমীর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আক্রামুজ্জামান রাহাত, শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু রায়হান রূপন, জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজুল হক মোল্লা, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও থানা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম শিপন, থানা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আতাহারুল ইসলাম আতা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি কামরুল হাসান, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম জুন, জেলা মহিলা দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সুমাইয়া আক্তার, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. শওকত হোসেন প্রমুখ।
প্রধান অতিথি শাহজাদা মিয়া আওয়ামী লীগের জোকার সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, লগি বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে মানুষ মেরে মৃত মানুষের উপর উঠে নৃত্য করার মতো আওয়ামী লীগের পৈশাচিক অসভ্য আন্দোলন করতে শেখেনি বিএনপি। বিএনপি সবসময় জনগণকে সাথে নিয়ে গণতান্ত্রিক পন্থায় সকল ধরণের আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে, ভবিষ্যতেও করবে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র এবং ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে নিশিরাতের ভোটারবিহীন মিথ্যাবাদী এ সরকারের পতন ঘটাতে সকল বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের বিকল্প নেই।
সমাবেশের সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেল বলেন, আমরা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আন্দোলন করছিনা, আন্দোলন করছি জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। জনগণসহ সবাইকে সঙ্গে নিয়ে শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটাতে রাজপথে আন্দোলনের জন্য সময় এসে গেছে। তিনি আরো বলেন, যদি এদেশে বৈদেশিক রেমিট্যান্সের চাকা সচল না থাকতো তবে অপরিকল্পিত মেগা প্রকল্পরে কারণেও এসরকারকে শ্রীলংকার মতো ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে পড়তে হতো।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হযরত আলী বলেন, জেল, জুলুম, গুম, হত্যার ভয় দেখিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম থেকে বিএনপিকে আর দমিয়ে রাখা যাবে না। দেশনেতা তারেক রহমান যখন আমাদের আন্দোলনের ডাক দিবেন তখনই আমরা এ সরকার পতনের আন্দোলনে রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়বো।
গাইবান্ধা,
সারাদেশে নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছে বিএনপি। গাইবান্ধা জেলা বিএনপির উদ্যোগে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার (১৪ মে) এ বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
গাইবান্ধা জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে সকাল থেকেই বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিট থেকে দলটির নেতাকর্মীরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ মইনুল হাসান সাদিক। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন লে. কর্নেল (অব.) এম এ লতিফ খান। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, জনগণের ঐক্যবদ্ধ শক্তি নিয়ে গণতন্ত্র ও ভোটারধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করতে হবে। কোন সময় দিয়ে নয় যে কোন সময়ে এ সরকারে পতন আসবে। এ সরকার সাধারণ জনগণ থেকে একটি বিচ্ছন্ন সরকার। তাদের সাথে জনগণের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। তারা জনগনের নির্বাচিত সরকার নয়। নিশির রাতের সরকার সাধারণ জনগণের ভোট ছাড়া একটি অনির্বাচিত সরকার। এ সরকারকে পতনের একটিই পথ সাধারণ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে হটাতে হবে।
বিক্ষোভ সমাবেশে আর বক্তব্য রাখেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির গ্রাম সরকার বিষয়ক সম্পাদক আনিছুজ্জামান খান বাবু, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, সাবেক জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ সামাদ আজাদসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
বক্তরা আরও বলেন, বাঁশে লাঠি নিয়ে নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকতে হবে, জালিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে। রাজপথে মোকাবিলা করতে হবে অবৈধ সরকারে বিরুদ্ধে। দেশে দিন দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম বাড়ছে। সরকার তার দলের লোকজনকে ভালো রেখে সাধারণ জনগণের সাথে ঠাট্টা করছে। দেশে যে জনগণ আছে সরকার তা ভুলে গেছে।
মেহেরপুর,
আজ ১৪ মে আওয়ামী সন্ত্রাস, সারাদেশে নৈরাজ্য ও দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে মেহেরপুর জেলা বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।
সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন অ্যাড. গৌতম চক্রবর্তী, সাবেক মন্ত্রী, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য জাতীয় নির্বাহী কমিটি। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাবু জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জাতীয় নির্বাহী কমিটি। মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদ মোঃ আমজাদ হোসেন, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মাসুদ অরুন। সভা সঞ্চালনে ছিলেন মেহেরপুর পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস।