ফরিদগঞ্জে এমপির অনুসারী ও উপজেলা চেয়ারম্যানের অনুসারীদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, আহত ২
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৩৪ এএম, ৯ মে,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:২৪ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে আজ রবিবার দিনভর বিভিন্ন স্থানে ছাত্রলীগের পরস্পর বিরোধী দুটি গ্রুপের মধ্যে বিক্ষিপ্ত ভাবে দফায় দফায় ককটেল বিস্ফোরণ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে দিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে এক গ্রুপের নেতাকর্মীরা রয়েছে এলাকার সাংসদ জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মুহম্মদ শফিকুর রহমান অনুসারী অপর গ্রুপ রয়েছে ফরিদগঞ্জের উপজেলা চেয়ারম্যান জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা এডভোকেট জাহিদুল ইসলাম রোমানের অনুসারী। তবে স্থানীয়রা বলছে মূলত এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নিজেদের পক্ষে সর্বমহলে আতংক সৃষ্টি করে রাখকে যে যার মতো করেই শান্ত ফরিদগঞ্জকে অশান্ত করতে বিভিন্ন পায়তারা করেই যাচ্ছে।
সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। তবে গুরুতর আহত হয়েছে চেয়ারম্যান গ্রুপের ছাত্রলীগের সাবেক নেতা, জেলা পরিষদের ২ সদস্য সাইফুল ইসলাম রিপন ও মশিউর রহমান গুরুতর ভাবে আহত হয়েছে। তাদের চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতালে প্রেরক করা হয়েছে। রবিবার রাতে এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্রে জানায়, জেলা ছাত্রলীগ কর্তৃক গত মাসে ঘোষিত ফরিদগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটির পক্ষে বিপক্ষে এলাকার সাংসদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মুহম্মদ শফিকুর রহমান ও উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জাহিদুল ইসলাম রোমানের গ্রুপের নেতাকর্মীদের সাথে দ্বন্ধ চলে আসছিল। জেলা ছাত্রলীগের ঘোষিত ফরিদগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের আনন্দ মিছিল করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। একই দিন সাংসদ শফিকুর রহমান গ্রুপের নেতাকর্মীরাও ঈদ পূর্ন মিলনী ও আনন্দ মিছিল করতে জড়ো হতে থাকে। এর আগেই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে দফায় দফায় ককটেল বোমা ফাটিয়ে এলাকায় আতংক সৃষ্টি করা হয়। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী এ সময় আতংকগ্রস্ত হয়ে পড়ে।
এ নিয়ে ফরিদগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) প্রদীপ মন্ডল বলেন, মূলত এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সরকার দলীয় দু-পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ন পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে বলে তিনি দাবী করছেন।