ফেনীতে জয়নাল আবেদীন ভিপির বাড়িতে নেতাকর্মীদের হামলার অভিযোগ ও নিন্দা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:২১ এএম, ৯ মে,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:৫৭ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
ফেনী-২ আসনের সাবেক সাংসদ ও বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন ভিপির বাড়ীতে ঈদ উপলক্ষে দলীয় নেতাকর্মীরা শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যায় এসময় পাচগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক নুর নবী মেম্বার, ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আইয়ুব আলী মিলনকে ভিপি জয়নালের বাড়ির মসজিদের সামনে ওই দুজনকে পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ফারুক, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ও তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে বেধড়ক লাঠি ও রড দিয়ে মারধোর করে।
আজ রবিবার সকালে জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার এক লিপিতে এসব মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন, ওই দিন তাঁরা মটর বাইক নিয়ে ভিপি জয়নাল'র বাড়াির চার পাশে মহড়া ও অবরুদ্ধ করে রাখেন। কিন্তু নুর নবী দৌড়ে ভিপি জয়নাল'র বাড়িতে আশ্রয় নেই। মিলন একা থাকায় তার মটর বাইক ভাংচুর করে তাকে পিটিয়ে মাস্টার পাড়া নিয়ে যায়। পরে স্থানীয় নেতাকর্মী শুনে জুলহাস ও মিনার এবং মজনু এগিয়ে আসলে সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা তাদেরকে মারধোর করে তাদের মোবাইল টাকাপয়সাসহ যাবতীয় জিনিসপত্র ছিনতাই করে নিয়ে যায়। পরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। কিন্তু তাদের কোন মামলা নেই। পুলিশ তাদেরকে পেন্ডিং মামলায় অভিযুক্ত করে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, গত ১৮ এপ্রিল পৌরসভার ১৫ ওয়ার্ডে পৌর নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী মাঈন উদ্দিন মায়াকে যুবলীগ নেতাকর্মীরা মারধোর করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। কিন্তু তারও কোন মামলা নেই। তাকে সাম্প্রদায়িক মালমালায় অভিযুক্ত করে আদালতে প্রেরণ করা হয়। সে এখন ফেনী কারাগারে আছে। গত ২৫ এপ্রিল ফেনী শহরে আইনজীবী মার্কেটের নিচুর তলায় থেকে ফেনী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক আবদুল হালিম মানিককে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে ধরে নিয়ে ফেনী কলেজের কম্পাউন্ডে আটক করে রাখেন। পরে ফেনী মডেল থানা খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করেন। গত ৩০ এপ্রিল রমজান সদর উপজেলা ধলিয়া ইউনিয়ন'র মমতাজমিয়ার হাটে ইফতার মাহফিল আয়োজন করা হয়। ইফতার মাহফিলে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা হামলা চালায় এবং ইফতারসামগ্রী লুটপাট করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। ১লা মে সদর উপজেলা লেমুয়া ইউনিয়নে বিএনপির ইফতার মাহফিলে চেয়ারম্যান ও তার বাহীনীদের নিয়ে বাদা দেওয়া হয়। পরে এক বাড়িতে করতে গেলে ওই খানেও বাদা দিয়ে ইফতারসামগ্রী নিয়ে খালে পেলে দেয়া হয়। এক কর্মী আহত হয়। এ ভাবে কয়েক যায়গা ইফতার মাহফিল করতে দেইনি। এদিকে ঈদের পরদিন কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী দলীয় নেতাকর্মী গুম ও আওমী সন্ত্রাসীদের হাতে নিহেত হওয়া পরিবারের সাথে সৌজন্যে স্বাক্ষাত করতে যায়। পরে আওয়ামিলীগ'র সন্ত্রাসীরা ১০/১৫ জনকে মারধর করে। এতে সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাস্টার নিজাম উদ্দিন পাটোয়ারী ও পৌর যুবদলের সদস্য সচিব নিজাম উদ্দিন সোহাগকেও বেদড়ক মারধর করা হয়। গত ৪ মে ফেনী পৌর যুবদলের আহ্বায়ক জাহিদ হোসেন বাবলুকে রাত ১১টায় র্যাব ৭ বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায়। গত ৬ মে জেলা যুবদলের সহ-সম্পাদক টিপু সুলতানকে পাগলামিয়া সড়কস্থে আমেনা সিরাজ কমিউনিটি সেন্টার থেকে বিনা অন্যায় তাকে ধরে নিয়ে যায়। ফেনী সেন্টার মার্কেটের মালিক জয়নাল আবেদীন ভিপি সহ অনেকে আছেন। তবে সন্ত্রাসীরা ওই মার্কেট অফিসে তালা দেই। জেলা সেচ্ছাসেবকদল'র সভাপতি সাইদুর রহমান জুয়েলের অফিসেও তালাসহ মার্কেটে চার পাসে চিচি ক্যামরা সব নিয়ে যায়। কিন্তু সংশ্লিষ্টরা সন্ত্রাসীদের কাছে মার্কেটি অবরুদ্ধ হয়ে আছে। তবে এ ভাবে অবরুদ্ধ থাকলে মার্কেটের দিন দিন অবনতি ঘটছে। এ ভাবে দলীয় নেতাকর্মীদেরকে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের থেকে জানতে চাইলে তারা বলেন উপরে নির্দেশনায় আমরা কাজ করছি। আমরা জানতে চাইলে উপরে কে নির্দেশে এসব করা হচ্ছে। তারা বলেন এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারীর নির্দেশে।
বিএনপির কাউকে একসাথে একত্রিত হতে দেওয়া যাবে না। তারা সংগঠিত হলে আগমী সংসদ নির্বাচনে সহজেই পার পাবো না।
আরও বলেন, ২০১৮ জাতীয় সংবাদ নির্বাচনের মত ২০২৩ সাল রংতামাশা করে এ সরকার নির্বাচন করতে চায়। তারা এ জন্য বিএনপির নেতাকর্মীদের মামলা হামলা করে সারাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীশূন্য করতে চায়। কিন্তু জেলা প্রশাসকের কাছে বার বার অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাইনি। এ দিকে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে লিফলেট বিতরণ করতে গেলেও বিএনপির নেতাকর্মীরা হামলার শিকার হয়।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার ও সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল সাংবাদিকদের প্রশ্নে বলেন, প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করেছে, তবে পুলিশ তাদেরকে না ধরিয়ে পুলিশ চার পাশে ঘুরে চলে আসে, তার জেলায় যে ভাবে নির্যাতন হচ্ছে, আর চুরি করে ভোট নিতে পারবে না, এ বিষয় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদের জানানো হয়েছে,পুলিশ গিয়ে সন্ত্রাসীদের সাথে চা চক্র করেন,
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক প্রফেসর এম খালেক, ইয়াকুব নবী, আলাউদ্দিন গঠন, সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তপন কর, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মোঃ দেলোয়ার হোসেন বাবুলসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।