খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রায় শেখ হাসিনার রায়, বিচারপতির রায় নয় : গয়েশ্বর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:১০ পিএম, ২৪ এপ্রিল,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৭:৪৮ এএম, ২৪ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে রায় প্রদান করা হয়েছে তা শেখ হাসিনার রায়। বিচারপতির রায় নয়। আমরা বিচারপতিদের রায় মাথা পেতে নিতে চাই। সুতরাং বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে রায় এ সরকার দেয়নি। রায় দিয়েছে শেখ হাসিনা স্বয়ং নিজে। এ মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
আজ রবিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে সাভারের জিরাবো এলাকায় সাভার থানা, পৌর ও আশুলিয়া থানা বিএনপির কর্মী সম্মেলনে যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এসময় আরও বলেন, পুলিশের দায়িত্ব নয় কোন মিছিল মিটিং বন্ধ করা। কথা গুলি ভেবে দেখবেন। পুলিশের এ আচরন জনগনের উপর জুলুম করা। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারি আপনারা। তথাকথিত প্রধান মন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মচারির মতো কাজ করবেন না। আপনারা আগামী দিনেও চাকুরি করবেন। তাই বলছি যা করছে এখানেই থামেন, আর জনগণের উপর জুলুম করবেন না বলেও জানান তিনি।
নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, আসুন রাষ্ট্রটাকে মেরামত করি। নিরপেক্ষ ব্যক্তির নেতৃত্বে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করি। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে সেই নির্বাচনে বিএনপি যাবে, একশবার যাবে। এর বাইরে কোনো নির্বাচনে বিএনপি যাবে না এবং সেই নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।
গয়েশ্বর রায় বলেন, ‘এই সরকারের দুর্নীতি ও দুঃশাসনের কথা এতদিন আমরা বলতাম, এখন দেশে ও বিদেশে সবাই বলে। এই সরকারের লুটপাট, মূদ্রাপাচার, নারী পাচার, মৃত মানুষের নামে মামলা, বিদেশে যারা থাকে তাদের নামে মামলা, আরও কত কী। মৃত মানুষ অথবা বিদেশে থাকা ব্যক্তিদের নামে যারা মামলা দেয় তারা কি পড়াশোনা জানেন না? এসব ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দিলে ভবিষ্যতে কোনো কাজে লাগে না, তারা তা বোঝেন না? যিনি মামলাটা করেন, তাকে কি পরে পাওয়া যাবে না? আমাদের লাখ লাখ নেতাকর্মী তাদের সবাই চেনেন। যারা এই মিথ্যা মামলা দেন, সরকার গেলেও তো তারা চাকরি করবেন?’
গয়েশ্বর আরও বলেন, পাকিস্তানের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হানাদার বাহিনীকে যুদ্ধ করে পরাজিত করেছি। মেজর জিয়াউর রহমান সেদিন স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। পুলিশ, সিভিল প্রশাসন, ছাত্র-যুবক সবাই মিলে দেশ স্বাধীন করেছি। আবার সবাই মিলে গণতন্ত্র, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করি এবং দেশটাকে সত্যিকারভাবে স্বাধীন করি।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ঢাকা জেলার সভাপতি ডা. দেওয়ান মো. সালাউদ্দিন। প্রধান বক্তা ছিলেন জেলার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক। এতে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, বেনজির আহমেদ টিটু, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য তমিজ উদ্দিন, নিপুণ রায় চৌধুরী।
সম্মেলনে কণ্ঠভোটে আশুলিয়া থানার সভাপতি আজগর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুর গফুর নির্বাচিত হন। একইভাবে সাভার থানার সভাপতি মো. সাইফুদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা এবং সাভার পৌরসভার সভাপতি শাহ মইনুল হোসেন বিল্টু ও সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান বদি নির্বাচিত হয়েছেন।