দেশ বাঁচাতে, মানুষকে বাঁচাতে ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফিরতে ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী সরকার পতনের বিকল্প নেই
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০৯ এএম, ১৪ এপ্রিল,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ১১:২৪ এএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
ইফতার মাহফিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনায় খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক নেতৃবৃন্দ বলেছেন, রমজানের পূর্বেই আওয়ামী সরকারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় অসাধু সিন্ডিকেট নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল পণ্য-দ্রব্য এবং গ্যাসের দফায় দফায় মূল্য বৃদ্ধি করে জনগণের পকেট কাটছে। বর্তমান আওয়ামী ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচার সরকারের হাত থেকে দেশ বাঁচাতে, দেশের মানুষকে বাঁচাতে এবং বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফিরিয়ে নিতে হলে সরকার পতনের বিকল্প নেই। আর সে জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে তৃণমূলে ত্যাগী, পরিশ্রমী ও সাংগঠনিক যোগ্যতা সম্পন্ন নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে ফ্যাসিষ্ট লুটেরা সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনের প্রস্তুত থাকতে হবে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা পেলেই আওয়ামী সরকার পতন আন্দোলনে সর্বস্ব দিয়ে দেশ-মা, মাটি-মানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
তৃণমূল নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তারা আরও বলেন, হতাশার কিছু নেই, সংগ্রামেই মুক্তি নিহিত। বিশ্বাস ঘাতক-বেঈমান আর ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী সরকার পতন আন্দোলন এক সাথেই চলবে ইনশাআল্লাহ্।
খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক নেতৃবৃন্দের আয়োজনে আজ বুধবার নগরীর হোটেল টাইগার গার্ডেনে অনুষ্ঠিত ইফতার ও দোয়া মাহফিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ইফতার সামনে নিয়ে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী মহান স্বাধীনতার ঘোষক বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, তার কনিষ্ঠপুত্র ক্রীড়া সংগঠক আরাফাত রহমান কোকো, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বর্ষিয়ান রাজনীতিক ভাষাসৈনিক এম নূরুল ইসলাম দাদুভাই ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সেকেন্দার আলী ডালিমসহ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে দলের প্রয়াত সকল নেতাকর্মীর মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। একই সাথে বিএনপি চেয়ারপার্সন ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ সাবেক সফল তিনবারের প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা, কারামুক্তি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পূর্ণ সুস্থতা ও স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীনের নিকট সাহায্য প্রার্থনা করে নেতাকর্মীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
ইফতার পূর্ব কোরআন থেকে তেলওয়াত করেন মহানগর ওলামা দলের সভাপতি মাওলানা আব্দুল গফ্ফার এবং দোয়া পরিচালনা দোয়া করেন মহানগর ওলামা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মো. শফিকুল ইসলাম।
ইফতার ও দোয়া মাহফিল উদযাপন কমিটির আহবায়ক বিএনপি নেতা মীর কায়ছেদ আলির সভাপতিত্বে এবং ইফতার ও দোয়া মাহফিল উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব মো. মাহবুব কায়সারের পরিচালনায় ইফতার ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিজেপি সভাপতি অ্যাড. লতিফুর রহমান লাবু, মহানগর জামায়াতে ইসলামের সেক্রেটারী মাওলানা মাহফুজুর রহমান, মহানগর মুসলিম লীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আক্তার জাহান রুকু, মহানগর জাতীয় পার্টি (জাফর) সভাপতি মোস্তফা কামাল, বিজেপি মহানগর সাধারণ সম্পাদক সিরাজ উদ্দিন সেন্টু, মহানগর জামায়াতে ইসলামের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী অ্যাড. শাহ্ আলম, খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতর সাবেক সভপতি অ্যাড. বজলুর রহমান, অ্যাড. আব্দুল মালেক, অ্যাড. আব্দুল্লাহ হোসেন বাচ্চু, জেলা আদালতের সাবেক পিপি অ্যাড. আকরাম হোসেন, মহানগর খেলাফত মজলিস নেতা হাফেজ শফিকুল ইসলাম, খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোতাহার রহমান বাবু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসান আহমেদ মোল্যা, ফুলতলা উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক গাউসুল আজম হাদী, চিকিৎসক ডা. হামে জামান, মুসলিম লীগের সহসভাপতি শফিক আহমেদ মানিক, মহানগর বিজেপি নেতা মিয়া বদরুল, মহানগর খেলাফত মজলিস নেতা ওহেদুজ্জামান, জাতীয়তাবাদী হিন্দু আইনজীবী ফোরম সভাপতি অ্যাড. সত্য গোপাল ঘোষ, কাউন্সিলর মাজেদা খাতুন, মুসলিম লীগ নেতা অ্যাড. মনিরুজ্জামান, ২০ দলীয় জোট নেতা মো. হারুন অর রশিদ, গোলাম নবী, আমিনুল ইসলাম, শেখ শওকত আলী, বিএনপি নেতা শেখ মোশাররফ হোসেন, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, অ্যাড. ফজলে হালিম লিটন, শেখ ইকবাল হোসেন, শাহজালাল বাবলু, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, নজরুল ইসলাম বাবু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, ইকবাল হোসেন খোকন, মেহেদী হাসান দিপু, অ্যাড. গোলাম মওলা, নিজামুর রহমান লালু, মো. শাহজাহান, সাদিকুর রহমান সবুজ, ইশতিয়াক উদ্দিন লাভলু, আনোয়ার হোসেন, ইউসুফ হারুন মজনু, অ্যাড. মশিউর রহমান নান্নু, এড. এস এম মজিবর রহমান, বদরুল আলম আকু, শামসুজ্জামান চঞ্চল, কাজী শফিকুল ইসলাম শফি, অ্যাড. জামিরুল ইসলাম, অ্যাড. আসাদুল আলম, আবু সাঈদ শেখ।
এছাড়া ইফতার মাহফিলে খুলনার বিশিষ্ট রাজনীতিক, জনপ্রতিনিধি, সমাজসেবক, খুলনা চেম্বারের সাবেক ও বর্তমান পরিচালকবৃন্দ, ব্যবসায়ী নেতা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক নেতৃবৃন্দ, থানা, ওয়ার্ড অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠণের তৃণমূল নেতৃবৃন্দসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।