বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসব উপলক্ষে তারেক রহমান ও মির্জা ফখরুলের বাণী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:২৭ পিএম, ১২ এপ্রিল,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:২০ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি'র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পার্বত্য চট্রগ্রামের বাংলাদেশী বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসব উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন।
পার্বত্য চট্রগ্রামের বাংলাদেশী বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসব উপলক্ষে বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের বাণী
"পার্বত্য অঞ্চলবাসী বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠীর বর্ষবরণ ও প্রধান সামাজিক উৎসব বিঝু, সাংগাই, বৈসুক, বিষু ও বিহু উপলক্ষে সব সম্প্রদায়ের প্রতি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা অভিবাদন জানাচ্ছি। পাহাড়ী বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠী তথা ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী জনগণের ঐতিহ্য, কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ইতিহাস বাংলাদেশের জাতীয় ইতিহাস ও সংস্কৃতির অনুষঙ্গ। যা আমাদের ঐতিহ্যকে গৌরবময়, প্রাচুর্য্যময় ও সৌন্দর্য্যমন্ডিত করেছে।
বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সারা বিশ্বে বাংলাদেশের মর্যাদা এক উজ্জলতর পরিসর লাভ করেছে। উৎসবের প্রাঙ্গণ প্রতিটি ধর্ম-বর্ণ, জাতি নির্বিশেষে সকলের জন্য উন্মুক্ত। উৎসব সম্প্রদায় নির্বিশেষে পরস্পরের মধ্যে শুভেচ্ছাবোধের দ্যোতক। মানুষে-মানুষে সম্প্রীতি ও মিলনের চিরন্তন বাণী মিশে আছে আমাদের লোকজ ঐতিহ্য ও কৃষ্টির মধ্যে। এদেশের সাধকেরা সেই বাণীই প্রচার করেছেন নির্ভীক চিত্তে।
এদেশের বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠী তথা ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী সম্প্রদায়সহ সকল নাগরিকের সমান অগ্রগতি, বিকাশ, নিরাপত্তা ও সংবিধান বর্ণিত মৌলিক অধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। বাংলাদেশের ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায় ও জনগণের নিজেদের পার্বণ ও উৎসব জাতীয় উৎসবেরই অংশ। এই উৎসবের দিনগুলো আনন্দে ভরে উঠুক আর সবার জন্য অনাবিল শান্তি ও সুখের হোক-এই কামনা রইল। "
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাণী
"বাংলাদেশের পাহাড়ী নৃ-গোষ্ঠীর বর্ষবরণ উৎসব বিঝু, সাংগাই, বৈসুক, বিষু ও বিহু উপলক্ষে সব সম্প্রদায়ের প্রতি রইল আমার প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। এটি তাদের প্রধান সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোর একটি। আমাদের জাতীয় সত্বার অবিচ্ছেদ্য অংশ পার্বত্য বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠীর ভাষা, সংস্কৃতি ও ইতিহাস। পার্বত্য বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠী জনগণের ঐতিহ্য আমাদের দৈশিক চেতনার অন্যতম স্তর। আমাদের জাতীয় সংস্কৃতির সমন্বিত রুপের অংশ পাহাড়ী নৃ-গোষ্ঠীর ঐশ্বর্যমন্ডিত সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য।
আবহমানকাল ধরে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মধ্যে বসবাস করছে। প্রতিটি উৎসবই মনুষ্যত্বের উন্মিলন ঘটায়। উৎসব জাতীয় জীবনে সংকীর্ণতার সীমানা পেরিয়ে সমন্বয় ও ঐক্যের ক্ষেত্রকে প্রসারিত করে। লোকজ সংস্কৃতির স্বার্থকে সংরক্ষণ ও চর্চাই হচ্ছে সভ্যতার ধারক-বাহক। পারস্পরিক শুভেচ্ছাবোধ ও মিলনের গানই গীত হয় বাংলাদেশের রাঙা মাটির পথে পথে।
আমি এদেশের সকল নৃ-গোষ্ঠীর তথা সকল ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সমান অগ্রগতি ও বিকাশ কামনা করি। এই উৎসবের দিনগুলো আনন্দে ভরে উঠুক আর সবার জন্য অনাবিল শান্তি ও সুখের হোক-এই কামনা রইল। "