হাটহাজারীতে স্বাধীনতা দিবসে শহীদদের প্রতি বিএনপি'র শ্রদ্ধা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২৬ মার্চ,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:৫৯ এএম, ২৫ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
চট্টগ্রামে হাটহাজারী উপজেলা ও পৌর বিএনপি'র উদ্যেগে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস এবং শহীদ জিয়ার স্বাধীনতা ঘোষণা দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলাল।
আজ শনিবার (২৬ মার্চ) সকালে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সময় এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ব্যারিষ্টার মীর হেলাল বলেন, পশ্চিম পাকিস্তানের শোষণ, বঞ্চনা ও পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে ১৯৭১ সালের এইদিনে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে সেনাবাহিনীর তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়ে হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু করেন। ২৫ মার্চ রাতে পাকহানাদার বাহিনী বাংলার জনগণের ওপর ক্র্যাকডাউন শুরু করে। নেতৃত্বশূন্য হয়ে পরে বাঙালি জাতি, স্বাধীনতা-পাগল বাংলার জনগণ দিগিবেদিক ছুটতে থাকে, তখনই চট্টগ্রামে সেনা সদস্যদের নিয়ে ‘উই রিভোল্ট’ বলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।
এরপর ২৬ মার্চ সেই ঘোর অমানিশার মধ্যে অত্যন্ত আকস্মিকভাবে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক আকাশে উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো উদয় হলেন জিয়াউর রহমান, কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে। বেতার কেন্দ্রের কর্মীদের সহযোগিতায় তিনিই স্বাধীনতার ঘোষণা উচ্চারণ করলেন। তিনি বলেন, This is Swadhin Bangla Betar Kendra. I, Major Ziaur Rahman, Provisional Head of the Government, do hereby declare that Independence of the People of Republic of Bangladesh. ... তিনি এ স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রতি সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য বিশ্ববাসীর প্রতি আহবান জানান।
এই ঘোষণা ঐতিহাসিক। এই ঘোষণা প্রত্যয়দীপ্ত। সামনে চলার মানসিকতাপূর্ণ আহবান। সমগ্র জাতি যখন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নির্মমতায় স্তম্ভিত, রাজনৈতিক নেতৃত্বের দিক-নির্দেশনাহীনতায় সম্বিতহীন, সেই বিশৃঙ্খল এবং অন্ধকারাচ্ছন্ন মুহূর্তে জিয়ার সেই ঐতিহাসিক ঘোষণাই সমগ্র জাতিকে ঘুরে দাঁড়ানোর সাহস জোগায়। সবার মধ্যে এই আস্থা সৃষ্টি করে যে, তিন সপ্তাহব্যাপী অসহযোগ আন্দোলনের পরে সশস্ত্র সংগ্রামের অধ্যায় শুরু হয়েছে। মাটির প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা আর দেশপ্রেমের অস্ত্রে তারা পরাস্ত করেন প্রবল পরাক্রমশালী পাকবাহিনীকে।
গৌরবময় এই বিজয়ের সূচনা জিয়াউর রহমানের হাত ধরেই। জিয়াউর রহমান একজন সৈনিক, একজন মেজর, একজন জেনারেল, একজন সেনাপ্রধান, একজন রাষ্ট্রপ্রধান এবং সর্বোপরি একজন রাজনীতিবিদ। তিনিই স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম বিদ্রোহী। নিয়তির অমোঘ পরিণতি ‘মৃত্যু’ ছাড়া তাঁর জীবনে আর কোনো ব্যর্থতা নেই।
এই সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, হাটহাজারী উপজেলা বিএনপি'র আহবায়ক নুর মোহাম্মদ, যুগ্ম আহবায়ক সেলিম উদ্দীন চেয়ারম্যান, ডাক্তার রফিকুল আলম চৌধুরী, সদস্য সচিব গিয়াসউদ্দীন চেয়ারম্যান, হাটহাজারী পৌরসভা আহবায়ক জাকির হোসেন, সদস্য সচিব অহিদুল আলম, উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল আলম জনি, উত্তর জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা লায়লা ইয়াসমিন, হাটহাজারী যুবদলের আহবায়ক ফখরুল হাসান, যুগ্ম আহবায়ক জিএম সাইফুল ইসলাম, ইমরান চৌধুরী, পৌরসভা যুবদলের আহবায়ক মীর্জা এমদাদ, সদস্য সচিব হেলাল উদ্দীন, উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আকবর আলী, সদস্য সচিব মোঃ আলাউদ্দীন, পৌরসভা সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবদু সালাম, সদস্য সচিব ইলিয়াস মেহেদী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সহ সভাপতি আলাউদ্দীন, মনোয়ার হোসেন। হাটহাজারী উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক তকিবুল হাসান চৌধুরী তকি, সদস্য সচিব গাজী আবদু মুবিন, চট্টগ্রাম বিশ্ব বিদ্যালয় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসোন হৃদয়। পৌর সভা ছাত্রদলের আহবায়ক রেজাউল করিম চৌধুরী রকি, সদস্য সচিব সাহেদ খান সহ হাটহাজারী উপজেলা, পৌরসভা, কলেজ, ইউনিয়ন ও ওর্য়াড সমূহের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।