শাসকগোষ্ঠী গণতন্ত্রের পথচলাকে আটকিয়ে মানুষকে খাঁচায় বন্দি করেছে : মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:২৯ এএম, ২৪ মার্চ,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৭:৫৫ এএম, ২৪ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
বর্তমান অগণতান্ত্রিক শাসকগোষ্ঠীর আঁতাত পুনরায় বহুমাত্রিক গণতন্ত্রের পথচলাকে আটকিয়ে দিয়ে দেশের মানুষকে খাঁচায় বন্দি করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কালো দিবস (স্বৈরাচার এরশাদ কর্তৃক অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল) উপলক্ষে আজ এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায়। এ দিনে তৎকালীন সেনাপ্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জনগণের ভোটে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ও সরকারকে বন্দুকের নলের মুখে অবৈধভাবে ক্ষমতাচ্যুত করে শহীদ জিয়াউর রহমানের পুনরুজ্জীবিত বহুদলীয় গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল। সংবিধান স্থগিত করে কেড়ে নেয়া হয়েছিল বাক, ব্যক্তি, বিবেক, মুদ্রণ ও সমাবেশের স্বাধীনতাসহ মানুষের সকল নাগরিক স্বাধীনতা। স্বৈরাচার এরশাদের অবৈধ ক্ষমতা দখলের এই দিনটি জাতির ইতিহাসে ‘কালো দিবস’ হিসেবে চিহ্নিত।
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রসমূহে স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকারকে জোরালোভাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। কিন্তু ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চের এই দিনটিতে স্বৈরাচার এরশাদ অবৈধভাবে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে ইতিহাসের নির্লজ্জ স্বৈরতন্ত্র কায়েম করে। এরশাদ কেবলমাত্র ক্ষমতা দখল করে ক্ষান্ত থাকেনি বরং জনগণের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতন চালিয়ে দীর্ঘ ৯ বছর দেশবাসীকে এক চরম বিভীষিকাময় দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে নিক্ষেপ করেছিল। অনৈতিক রাজনৈতিক কর্মকান্ড, শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস, সীমাহীন দুর্নীতিই স্বৈরাচারী শাসনের অবলম্বন হয়ে দাঁড়ায়। ৯ বছর ছাত্র-গণআন্দোলন নিষ্ঠুরভাবে দমন করতে গিয়ে স্বৈরশাসকের পেটোয়া বাহিনী গুলি চালিয়ে হত্যা করে অসংখ্য ছাত্র-জনতাকে। ১৯৮২ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত জাতির জীবনে এক কলঙ্কময় অধ্যায় রচিত হয়েছিল। সেই স্বৈরশাসকের সাথে অভিন্ন বৈশিষ্ট্যের বর্তমান অগণতান্ত্রিক শাসকগোষ্ঠীর আঁতাত পুনরায় বহুমাত্রিক গণতন্ত্রের পথচলাকে আটকিয়ে দিয়ে দেশের মানুষকে খাঁচায় বন্দি করে।
তিনি বলেন, দেশে এখন মানুষের বাক, ব্যক্তি, মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ সকল নাগরিক স্বাধীনতা সম্পূর্ণভাবে অপহৃত করা হয়েছে। বারবার যিনি গণতন্ত্রকে স্বৈরাচারের বন্দিশালা থেকে মুক্ত করেছেন সেই আপোসহীন নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষকে নির্বাক করে রাখতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে নির্দয়ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। দেশে এক অসহনীয় ঘোর দুর্দিন বিরাজমান।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এমতাবস্থায় আমি আজকের এই কালো দিনে দল, মত, শ্রেণি, পেশা নির্বিশেষে সকল পর্যায়ের মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে বর্তমান দুঃসহ দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেতে সংগ্রামী অভিযাত্রায় সামিল হওয়ার আহবান জানাচ্ছি। বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য সোচ্চার আওয়াজ তুলতে হবে।