সিদ্ধিরগঞ্জে চাঁদাবাজির মামলার সেচ্ছোসেবক লীগের ওয়ান্টেভুক্ত আসামীরা প্রকাশ্যে!
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৪১ পিএম, ১৩ ফেব্রুয়ারী,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:০৯ পিএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাং রোডে অবৈধ রেন্ট-এ কার স্ট্যান্ডের চাঁদাবাজি নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সরকার দলীয় ১০ আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। এরমধ্যে পুলিশ আব্দুল আজিজ নামে এক আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, অবৈধ সুবিধার বিনিময়ে বাকী আসামীরা প্রকাশ্যে এলাকায় অবস্থান করলেও তাদের গ্রেপ্তারে কার্যকরী কোন প্রদক্ষেপ নিচ্ছেন না পুলিশ। তাদের সুকৌশলে জামিন নেয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
জানা যায়, ২০২০ সালের ২২ ডিসেম্বর চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে সংগঠিত সংঘাতের ঘটনায় চিটাগাং রোড রেন্ট-এ কার মালিক সমিতির সভাপতি ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক ভুইয়া রাজুকে প্রধান আসামী করে ১০ জনের নাম উল্লেখ এবং ২০/২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে নারায়ণগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত ‘ক’ অঞ্চলে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন সিদ্ধিরগঞ্জের হিরাঝিল এলাকার মৃত হাজী আব্দুল মোতালেবের স্ত্রী মোসা: রহিমা বেগম (৬০)। তিনি সদ্য ভেঙ্গে দেয়া মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি শিব্বির আহমেদের মা।
মামলার অন্যান্য আসামীরা হলো, সিরাজ উদ্দিনের ছেলে রেন্ট-এ কার স্ট্যান্ডের সাধারণ সম্পাদক মো: সালাউদ্দিন (৫০), মো: সহিদের ছেলে কিলার জসিম (৪০), আলাউদ্দিনের ছেলে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মো: সাইফুল ইসলাম (৩৫), মৃত মোহাম্মদের ছেলে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সোহাগ (৩৭), নুরুল ইসলামের ছেলে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মো: আজিজ (৩৮), আবুল কালাম মোল্লার ছেলে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মো: মহিউদ্দিন (৪৫), মৃত ওয়ালি উল্লাহ ছেলে মো: এনায়েত উল্লাহ (৩৭), ইদ্রিস আলীর ছেলে যুবলীগ নেতা সানাউল্লাহ সানী (৩২), আবু সাইদের ছেলে টাইগার ফারুক (৩৮), জসিম (৩৫)সহ আরো অজ্ঞাত ২০/২৫ জন।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)কে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশ তদন্ত শেষে আদালতে প্রতিবেদন দেয়ার পর আদালত আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা (ওয়ারেন্ট) জারি করে। পরে পুলিশ আব্দুল আজিজ নামে এক আসামীকে গ্রেফতার করে ।
এ ব্যাপারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফয়সাল আলম জানায়, আদালত থেকে সুনির্দিষ্ট গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ভিত্তিতে মো: আজিজ নামে একজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যান্যদেরকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তবে অভিযোগ রয়েছে, এস আই ফয়সাল অবৈধ সুবিধার বিনিময়ে আসামীরা প্রকাশ্যে এলাকায় অবস্থান করলেও তাদের গ্রেপ্তারে কার্যকরী কোন প্রদক্ষেপ নিচ্ছেন না।